আচ্ছা বাবা কান মুলছি, কাশবো না, আরে বিড়ি টানলে একটু আসে      
লোভে পড়ে বেশী খেলে, কাশি আসে রাত দুপুরে মাঝে সাঝে    
তবে আজকে একটু অন্য রকম, জল না খেয়ে ভরেছি রসগোল্লা  
হেঁ হেঁ করোনা কালের বরযাত্রী, ভালবেসে বসিয়ে দিলে এক গামলা  
সেই ছোট্ট থেকে না বলিনি কিছুতে, চালান করা কি এতই সোজা  
আছে আছে এখনো মানুষ আছে, মনখুলে খাইয়ে পায় দারুণ মজা।


বলছি তো কান মুলছি, কাশবো না, এই বিড়ি টানলে একটু আসে        
চেপে রাখার চেষ্টা করি ভয়ে, তাও উল্টপথে সুরতুলে পশ্চাতে সে ভাসে        
হুঁ হুঁ বলতে পারবে না অস্বস্তি হয়, সকাল সন্ধে দুবার এক্কেবারে খালি হয়
জমিয়ে রাখার সিন নেই, ভরো খালি করো, কেউতো আর আপন নয়
ভুত-প্রেতে ছেয়ে গ্যাছে, করোনা শান্ত হলেই শস্তায়ন হবে ঘরে ঘরে  
মৃতের মঙ্গলে স্বর্গের রাস্তা পরিস্কারের দায় কেউ কি এড়াতে পারে
কি বোল্লে ? ঘাটের মড়া ! আহা আবার বলো, একবার বলো ভালবেসে  
ভোজনে না বোলতে নেই কষ্ট হলেও, পরলোকে অবিনশ্বরের শান্তির আশে।  


শুনছো, এই আবার করছে সুড়সুড়, যাই বাইরে গিয়ে কেশে আসি  
তোমার ঘুমের ব্যাঘাত হলে কষ্ট পাই, বোঝ না তো কতটা ভালোবাসি
ওহো বিড়িগুলো সব গেল কোথায় ! রেখছো কি তোমার বালিসের তলায়    
আচ্ছা রাতের মত একটা দাও, কথা দিচ্ছি আর চাইবো না এই বেলায়
আহা রাগ করো না, তুমিই বোলতে ধূমপান না করলে কি পুরুষ স্মার্ট হয়
মনে পড়ে সিনেমার কথা ! নায়কের মুখে সিগারেট নাইকা আগুন ধরায়
জানো, কাগজে পড়লুম করোনা নাকি জব্দ হয় কড়া ধাতের ভেষজ ধোঁয়ায়
ভাবছি বিড়ির নেশা ছেড়েই দেবো, ভোলানাথের সঙ্গ পেতে যাবো আখড়ায়।    

সোনারপুর
২৩/০১/২০২২