কী নিদারুণ তামাশা; কয়েক দিন আগেও ছিল যারা ঘরের মানুষ
ফিরলে ঘরে ছয় মাসে বা বৎসরান্তে, আনন্দে সবাই হারাত হুঁশ
বদলে গেল সেই চিত্র রাষ্ট্র যন্ত্রের অমানবিক নীতি হীন আচরণে
শিকড় যার এই মাটিতেই, কেন তকমা পরিযায়ী ! কোন কারণে ?
জন্ম থেকে মৃত্যু যার এই মাটিতেই পুরুষানুক্রমে, নাগরিক সে অধিকারে
সমৃদ্ধির মাটি ভেজায় প্রতিদিন শ্রমের ঘামে, পরিযায়ী হল সে কেমন করে?
এ দেশের সকল স্থানে কর্মে তার অধিকার, সংবিধান কী ভিন্ন বলে ?  
চলবে দেশ ! ঘুরবে চাকা উন্নয়নের ! ধনীর সম্পদ বাড়বে কী ? শ্রমিক মলে ।


এরা যদি পরিযায়ী হয়; একই কারণে নেতা; ব্যবসায়ী; বা চাকুরিজীবী কী ?  
তাদেরও কী বলবে সময় জলদি ভাগো নিজ প্রদেশে, দরকার নেই জী
ছোট্ট একটা শব্দ “পরিযায়ী”,  ভাবনায় জাগে প্রাদেশিকতার সর্বনাশা গন্ধ
উদ্দেশ্য নয় তো সুদুর প্রসারী ! বেড়াল ছানা কি ঝোলার ভিতর ! মনে জাগে দ্বন্দ্ব  
শ্রমিক মানেই উন্নয়নের সৈনিক এক কথা কী মিথ্যা ?  দেশ বাঁচেনা এদের ছাড়া
সম্মান জানাতে কুন্ঠা কেন ?  শূন্য হবে আভিজাত্য আর অহং বোধের ঘড়া !
জন সম্পদের মেরুদন্ডই যদি না পায় সম্মান, থাকবে কি চেয়ারগুলো বর্তমান
দেওয়াল যদি এগিয়ে আসে পিঠের কাছে, তখন কী খুঁজতে যাবে অভিধান ?    


সোনারপুর
৩০.০৫.২০২০