তোদের মনে আছে , মন্টুবাবুর কলেজের ক্থা
সকাল ১০টায় শুরু ক্লাশ শেষ দুপুর ১২ টায়
তার আগে পেনশিল কাটা -পাতা উল্টে আউট লাইন দেখা
কবিতা পড়া - আড় চোখে - মনের কথা ।।

সবাই ছিলাম ২০ - ২২ এর মধ্যে -ভরা তারুণ্যে
প্রেম ও হয়তো ছিল ব্ন্ধুত্তের আড়ালে কারো
দিন গুলি কেটে যেত, একটা চাকরী পেতেই হবে
কষ্ট করে মন বসাতে হতো অনুশীলনে ।।

তিন-চার ব্ছর এক সাথে প্রতিদিন অনেকটা সময়
কত ক্থা হত সুখ-দ্যুঃখ্যের - ভালোলাগা
মান-অভিমান - মতের অমিল
কে কত ভালো অনুশীলন করছে দেখা।।

পিকনিক -বিড়াতে, চাঁদা পঁচিশ টাকা
মিটিং করা-চাঁদা তোলা - বাজার করা
রান্নার ভার এই অধমের উপর
মাংস-ভাত সব ঠিকই ছিল, চাটনি টা পাতল।।

কেউ আগে-কেউ পরে চাকরী পাওয়া
ব্যাংক, রেল, সেনা, রপ্তানি ও  সিরামিকে
খুশী সবাই, কলিকাতায় - আসে -পাশে
যোগ দেওয়ায় সরকারী বিভাগে ।।

চলছিল নিয়মিত চিঠি লেখা - খবর নেওয়া
অফিসের ফোনে
ক খ ন ও  কোথাও দেখা করা
হয়ত খানিক দুর্বলতা - রং ধরা মনে।।

এ ভাবে যায় দু-চার বছর  
সব ফিকে হয়ে যায় আস্তে আস্তে
সময় হয়না খবর নেবার সংসারের চক্রব্যুহে আব্দ্ধ
ক্থা হয় স্মৃ্তি ভাসে - দেখা হলে রাস্তায়।।

বাড়িয়ে বলছিনা একটুও
আজও চেস্টা করি জানতে কেমন আছিস তোরা
মনটা খারাপ হয়ে যায় খারাপ খবর পেলে
পরিচিত কোন মাধ্যমে।।

খুব ভালো হতো যদি পরের প্রজন্মের
সাথে পরিচয় থাকতো সবার সাথে
আড্ডায় ডুবে যেতে তিরিশ ব্ছর আগের মত
মিনু, প্রান, দ্বিজেন, পুলক,সুচেতা, জবা,মানস
বাদল (ঝর্না) , তোরা সবাই ভালো আছিস তো !!