এই আবাগীর বেটি, সারা বছর নানা রুপ ধরে আসছিস
চার-পাঁচ দিন ধরে আগা পাসতলা সব খেয়ে আসর মাতাচ্ছিস
আলোর বন্যায় ভাসছিস আর আমাদের লজ্জা বাড়াচ্ছিস
বলনা, এক টুকরো কাপড়ে কোন দিকটা ঢাকি
কত জন্ম জন্মান্তর  না খেয়ে ছেঁড়া কাপড়ে লজ্জা আঁকড়ে আছি।।


তুই তো শুধু তেলা মাথায় হাত রাখিস, সহায় হয়ে অভয় দানিস
মোদের কথা কি একটু  ভাবিস, আস্তানা টা ও নিয়ে নিলি
বলনা এখন  থাকি  কোথায় , তুই তো না হয় রাজার মেয়ে,
দিন গুজরান নিত্য নূতন রংবে রঙে , সবাই তোকে আপন ভাবে,
ক্লান্তি ভরা দিনের শেষে, একটু কোথায় চোখ ডোবাব লজ্জা ঢেকে।।


ষোড়স উপচার, পঞ্চ  ব্যাঞ্জন, মন্ডা মিঠাই থালায় থালায়
গন্ডা খানেক বাচ্ছা নিয়ে, খাস দেখি তুই দশ হাত দিয়ে
মোদের ঐ ইটের উনান, আর জনম ভরের কালো হাঁড়ি
ঘুরে মরি এ দিক সেদিক, দিয়ে সব জলাঞ্চলি
মরি কেবল পেটের জালায়, দাঁড়িয়ে পড়ি অনেক আশায়
চোখটা ঘোরে লাট্টু সম, মনটা খোঁজে শালের পাতায় খিচুড়ি।।


বলনা ওদের একটুকু তুই, কম করে দে আলোর ছটা    
শুধু চাই একটু আড়াল, তোর কাছে কি বেশী সেটা
বাড়াস নি আর লজ্জা মোদের, কোথায় পাব সান্তনা
আসবি যখন বাপের বাড়ী, যাব কি মোরা কৈলাশে
দুলালি, মন ভোলালি, বুঝ লিনা তুই মনের কথা
গরীব বোলে অসুর ভাবিস, বাকিরা কি বাপের বেটা !!