দিনগুলো কাটছে, তবে আগের মত নয়
শিহরিত উত্তেজনারা পুরানো হয়ে রং হারায়
বাতাসের ফিস ফিসানিতে মিশেছে নোনা পানি
মাহেশ্বরী-বিজলীর মা জানায়,উর বিয়া ঠিক হছেনি
পালক মামা-মামি সায় দেয়, ওদের সামাজিক প্রথায়।।
হোগলের অপর পারের পাত্র, লোকে বলতো পাগলা
বিজলী জানতোনা, বিয়ার আসর বসে, সারা রাত হাড়িয়া
সেই মতই খাওয়া-দাওয়া, চলে নাচ গান, বাজে ধামসা
সকালে হেঁটেই রওনা দেয় বরের সাথে, ঘর বাঁধার আশা
গিয়ে পৌঁছায় এক দুচালার সামনে, এটাই তার নুতন বাসা।।
গোপাল, কোথায় গেছে কেউ জানেনা, আজো ফেরেনি
ভালোবাসা বা ভালোলাগার খবর কেউই রাখেনি
কাল, তার নিজস্ব গতিতেই পথ খুঁজে নেয়, বাঁচার আশায়
কেউ বা সঁপে দেয় নিজেকে ভাগ্যের হাতে, হলেও সে পরাজয়
অনাস্বাদিত ভবিষ্যতের পথে পথে নুতন অদেখা আলোয়।।
নিঃসন্তান বিজলী আছে, তবে সে যা ভাবত সে ভাবে নয়
প্রতি প্রভাতের সাথে সাথে লড়াই শুরু মীনজাল হাতে
হোগলের নোনা জল বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছে তাকে
জোয়ারে বা ভাটায় কোমর ডোবা নোনা জলের মীন যে টানে
এ ভালোলাগা নয়, তার পালিত সন্তান আর নিজের পেটের তাগিদে।।