খাবার আছে পোশাক আছে, আছে মাথার উপর ছাদ
তবুও বাঁচাটা বেশ কঠিন; মনেহয় জীবনটাই বরবাদ
খাওয়া ঘুম খাওয়া;  দিন রাত্রির পরিক্রমায় একটাই কাজ  
কেমন করে বাঁচে মানুষ নিষ্কর্মে ?  বুঝতে পারছি আজ
আড়-মোড়ায় সকাল অথবা ভরা পেটে এর বিপরীত    
অকাজ হলেও সই, তাসে গল্প গুজবে না হলেও হিত।  


ঘরে থাকলেও বোবা, অকাজের কথা শোনার তেমন কেউ নেই
আড্ডায় পরনিন্দা পরচর্চা এড়িয়ে চললে ঘর ও বাহির একই
পার্টি পলিটিক্সে হাজার পেচাল, সেখানে কল্কে পাওয়াই দায়
ষ্টেশনের বেঞ্চেও জায়গা মেলে না, সারাক্ষণ কি হাঁটা চলা যায় ?  
চায়ের দোকান বেঞ্চি হীন, যারাই আসে সবাই দেখি ব্যস্ত
আগের কালে চায়ের আড্ডায় রাজনীতি সমাজনীতি বেশ জমত।


চায়ের গ্লাসে উঠত তুফান খেলা কিমবা রাজনীতির আঙিনায়
যদিও ছেদ পড়েনি, তবুও অনেকটাই ম্রিয়মাণ বর্তমানের তালিকায়  
কিছু যৌবন জোটে ছুটির দিনে, তবে ব্যস্ত থাকে নিজ ধান্দায়
কর্মে অবসর, দরজা বন্ধ ঘেরা টোপে সকাল বিকেল বন্দী
খুঁজে পেতে পেলেও গাছতলা, সেখানে ও সহজে হয় না সন্ধি
অন্তসার শূন্য আলোচনায় অবান্তর ভাবনায় মনের হয় না তৃপ্তি।      


সোনারপুর  
৭/০১/২০২২