তেলহীন প্রদীপটা নিভতে চাইছে না, ধিক ধিক করে জ্বলছে
নিজ কর্মে অটল, চারপাশের গিলে খাওয়া আঁধার অগ্রাহ্য করে
শক্তির শেষতম বিন্দুতে পৌঁছেও নির্ভীক দীপ্ততার অঙ্গীকারে
সে জানে কর্মই থাকে ফলে, দপ দপিয়ে সে কথাই কি বলছে !    


অন্তরে জ্বালিয়ে বহ্নিবীনা, অনন্ত ব্রহ্মান্ডে ছন্দের কারিগর যে জ্যোতি
সকল দুর্যোগ অবহেলে উচ্ছলিত চুম্বনে জাগায় প্রাণ প্রতি প্রত্যুষে
কর্ম শেষে দিনান্তের সীমন্তে রঙ ছড়িয়ে যায় অঙ্গীকারের প্রদোষে
রেখে যায় দীপ্ত মধ্যাহ্নের গৌরব চরাচরে, প্রাণে প্রাণে অমলিন স্মৃতি ।


পথের শেষ না ভেবে, পথ চলাই হোক জীবনের প্রথম অঙ্গীকার
বাধার পাহাড় পেরিয়ে কলগুঞ্জিত মৌমাছিদের দলে থাক নাম
নিভৃতে একান্তে গড়ে নিই মানস সরবরে কর্মে শান্তির ধাম
বেলা অবেলা নেই কারো হাতে, যেন জীবন শূন্য না হয় কর্মভার।  


সোনারপুর
৩/১২/২০২১