ওহে শ্রমিক, কৃষক, তোমরা কি শুনতে পাচ্ছো কারো ডাক
বন্ধ কারখানা গেটের তালা, ব্রয়লার, হাতুড়ি তোমায় ডাকছে
কর্ষিত মাটিতে তোমার সবুজ চারা, নুয়ে পড়া সোনালি ধানের ক্ষেত
তোমায় ডাকছে ফসল তুলতে, বুঝে নিতে তোমার ঘামের অধিকার
তুমি কি দূরে থাকবে পোকা-মাকড়ের ভয়ে ? নাকি ফসল তুলবে ঘরে  
ওঠো শ্রমিক কৃষক জাগো, নতুন দিনের স্বপ্ন আর শক্তি নিয়ে
তোমাকে জাগতে হবেই বিপন্ন অধিকার বুঝে নিতে হিসেব করে
বাধার প্রাচীর ভেঙে, কারখানার বন্ধ যন্ত্র যে আবার গতি পেতে চায়  
তোমার ঝরে পড়া ঘামে সজীব কর্ষিত মাটি ডাকছে তোমায়  
জেগে ওঠো, বুঝে নাও তোমাদের অধিকার উপেক্ষা করনা ডাক।  
  
ওহে শ্রমিক কৃষক এবার অন্তত ভাবো, তোমাদের নিয়ে খেলছে কারা  
হিতৈষীর মুখোশে তোমাদের ঘামে ভেজা অর্থে কারা আত্মহারা
আন্দোলনের নামে নিশান উড়িয়ে কারখানায় তালা লাগাচ্ছে কারা
কিছু তাতানো কথায় আর মিথ্যা আশ্বাসে তোমার সংসারেই নিত্য খরা
এরা নতুন করখানা গড়ে না, এরা নতুন কর্ম দিবসের সৃষ্টি করে না
যা ছিল তাও ভেঙে করে ছারখার, তোমাদের ঘরে নামলেও অন্ধকার
তোমাদের দানে ফুলে ফেঁপে ওঠে, তোমাদের হয়ে বলতেও অর্থ লাগে
তোলা তুলে ভুলে যায় ভোলা, এরা সবাই হর-নাথ শ্রমিকের সর্ব হরা  
বৎসরান্তে অথবা ছমাসে একটা সভা, দেখছি দেখবোর ছলে ভরা
এরা গাছের খায় তলার ও কুড়ায়, নয় শ্রমিক কৃষকের প্রকৃত সাহারা।    


সাবধান ভাই সাবধান, কত আর ভুলবে কথার ছলে এবার একটু ভাবো
সময় এগিয়ে চলেছে মিথ্যা ভরসায় সমাজ ধমনীর রক্তকণিকা শুষছে
জোট বাঁধো নিজেরাই নিজেদের কথা বল যে ভাবে তা বলা যায়
তোমার কথা তোমার মুখে শুনতে চায় মানুষ, মুখোশের মুখে নয়
ভাবনা বদলাচ্ছে প্রতিদিন, বদলাতে হবে তোমাকেও সময়ের সাথে  
তোমার দান কম নয় কারো থেকে, কেন বাঁচবে মাথা করে নত
কেন থাকবে আঁধারে অনন্ত কাল, আলোর অধিকার তোমারও জন্মগত
দাঁড়াও মাথা উঁচু করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাঁচার সাহস নিয়ে বুকে  
সমাজের স্বপ্ন সবুজ হয়, আলো জ্বলে তোমার পেশির আগুন তাপে  
তোমার পাওনা বুঝে না নিলে, দেবে না কেহ অধিকার তোমাকে।  


সোনারপুর
২০/০৮/২০২৩