যতবার তোমাকে প্রশ্ন করেছি, উত্তর দাওনি
খলখল করে হেসে চলেছ চঞ্চলা কিশোরী কামিনী
ভালোবাসার কথা শুনে হটাত ঝাঁপিয়ে পড়ে
স্পর্শে ভিজিয়ে দিয়েছ, তবুও ধরা দাওনি
অথচ অসীমের সব রং মেখে হও রূপবতী  
এক সরল রেখায় মিশে থাক দৃষ্টির সীমানায়  
গরবিনী উচ্ছ্বাসে উদ্যাম সীমাহীন পরিক্রমায়  
খেলতেই থাক চটুল ছন্দে তাবৎ মনের বেলায়।  


তবুও যখনি ডাকো, উপেক্ষা করতে পারিনি সে ডাক
শত বাধা পেরিয়ে ছুটে আসি, পিছে যা থাকে থাক
হাজার প্রশ্ন শানিয়ে তোমাকে বুঝব বলে বসে থাকি
অবরুদ্ধ মনের দরজা হাট করে, তোমাকেই শুধু দেখি
মনের বীণায় তোমার স্বরলিপি, সুরে সুরে তোলে অনুরণন
ভুলে থাকি জাগতিক চাওয়া পাওয়া, তোমাতেই সঁপে মন
বড় জানতে ইচ্ছা করে, কোথা হতে শিখেছিলে এমন মায়া
কোন মন্ত্রবলে মুহুর্তে ভুলিয়ে দাও, জীবন পথে বিষাদের ছায়া ।


যখনি ভিক্ষা চেয়েছি অঞ্জলি পেতে প্রেম, দিয়েছ খুশির আবর্তে  
অঞ্জলি উপচে দিয়ে নিমেষেই গেছ সরে, দ্বিধাহীন শর্তে
তবুও সেইসুখ যতটুকু ছিল হাতে, মেখেছি চোখে মুখে
অনুভবে উচ্ছ্বাসে আমিও হারিয়েছি, অনন্ত কণিকার বিস্তৃত সুখে  
আশ মেটেনি, হয়ত মিটবেনা কোনদিন, বার বার আসব
জীবনের অনেক জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে, যুগান্তেও ভালোবাসবো  
আনন্দে, বিষাদে, প্রেমের পরশ পেতে  তোমাকেই শুধু খুঁজব
একদিন তোমার অনন্ত আধারে স্থিতু হয়ে, জানাব আমার অস্তিত্ব।


পুরী [সমুদ্রতীর]
২৩/০৮/২০১৮