মানুষরে এ এক বড় অসহায় অক্ষমতা
সীমাকে অতিক্রম করা তারজন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে
নিজের প্রচলিত বোধের বাইরেই তার যত ভয় আর শংকা
চোখ মুদলেই কি ঘুম হয়?
কত সহস্রবার চোখ মুদে ঘুরেছি সৃষ্টি জগতরে অজানা জগতে
মৃত্যুর সংগা না জানা মানুষের জন্যে আমার কি দায়?
আমি তোমা থেকে আবার তোমাতেই ফিরে যাব
উপলদ্ধিহীন উচ্চারণে এমই হয়!


মোহাবিষ্ট আত্মারা কাঁদে, মোহে মায়ায়
সমন্বয়হীন একমূখি চলার পরিণতি!
প্রাজ্ঞের দেহাবহেলায় উল্টো ভ্রু-কুচকানো সারাজীবন,
থমকে দাড়ায় পড়ন্তবেলায়-
অসাঢ় অনুভবে ব্যায়িত সেবা, সময়, প্রানান্ত চেষ্টার মূল্যহীনতায়।


সারাজীবনের বস্তুবাদীতার রেশ টানে শেষ যাত্রায়ও
বিদেহী আত্মার জন্য নেই কোন আয়োজন!
দেহকে ঘিরেই বড়ইপাতা-গরমজল-আতর-লোবান
সারাজীবন অবহেলা করা আত্মা-চির অবহেলিতই রয়ে যায়
মৃতূর চেয়ে বেশি কষ্ট ঘিরে থাকে অন্তহীন অনন্তে
শবমিছিল চলে শব সাথে লয়ে আত্মাটা অভিমানে চলে যায়
পথের পাশে অবহেলিত পাগলের ঠোটে মুচকি হাসি ।