মুখোশ পরে সংসার চলে
বহুত অভাগার,
কাগজে কলমে স্বামী স্ত্রী
নেই মিল মনের।
সারাদিন থেকে এক ছাদের তলে
হয়না একটি কথা,
যার যেমন মতো চলে
ইচ্ছে মতো খাওয়া।
স্বামীর প্রিয় হলে স্ত্রীর পঁচা
স্ত্রীর ভালো মানে
স্বামীর ঈর্ষার জায়গা।
দিন যায় রাত যায়
কেটে যায় বছর-
ঘরের মধ্যে চলে যেন
নরকের বাসর।
লোক সমাজে হাসি মুখে
ঘরের মধ্যে দস্যু,
ভয়ে ভয়ে থাকে সবে
বুঝে স্বয়ং চক্ষু।
ঘরটি করে নরকের আলয়
যেকোন একজন
সবার আনন্দ, সব ফুর্তি
একাই করে ধ্বংস
নিজেকে ভাবে সবজান্তা
সংসারের‌ই কর্তা
তার ইচ্ছায় খাই-দাই সবে
নেই কারো স্বাধীনতা।
সারাদিন পরে অফিস শেষে
একটু শান্তির খোঁজে
বাসায় ফিরে একি অশান্তি!
যেন বস্তিতে আছি।
পথে ঘাটে রাস্তায় বাসে
শুনিনি যে বাজে গালি
সব যেন মোর ঘরের মধ্যে
চলছে অহর্নিশি!
মাপ নেই কোন
তার রুদ্র রোশে
সবাই যেন অপরাধী
নিজে শুধু তুলসী পাতা।
শিকার পায়নি নিজের ভুল
লুকিয়ে রাখতে দুর্বলতা।
অপরাধ করে অপরাধী হবে না
সাজাবে অন্যকে,
যত‌ই লাগুক মিথ্যা বলা
শত চেষ্টা চালাবে।