নামতা পড়া নতুন সকাল ধুলার স্লেটে লিখতে বসে।
হিসেব গুলো উল্টে গেছে পোশাক নিয়ে অন্যদেশে।।
রঙ কালিতে ছবির বাজার বেশ জমেছে ভোরের খামে।
ধুলায় মাখা হাত দুখানি থমকে গেলো পথের নামে।।


পথের পাশে শিক্ষা ভাসে রোজ বিকেলে নিয়ন আলোয়।
ছোট্ট শিশুর রঙের খেলা, যানজটেতে থমকে গেলো।।
ওই তো এলো সেই দিদিটা,আগের দিনে খাবার দিলো।
দৌড়ে গেলো এপার থেকে মুখখানা তার কি জমকালো!


দিদি- দাদা ফ্লাশের আলোয় দাড়িয়ে গেলো ওদের সাথে।।
কাকে বলে  সমাজ সেবা দেখাতে  হবে ফেসবুকেতে।।
ক্ষুধাতুর শিশু খাবার খোঁজে। ফ্লাশের আলোর অন্ধকারে।
ধুলোয় মাখা শৈশব চাপা আভিজাত্যের সেই প্রসারে।।


যদি সমাজ সেবা শিশু'র জন্য খাবার টুকু গুছিয়ে আনে।
প্রত্যেক দিন ফ্লাশের আলোয় দাড়িয়ে থাকুক সে সন্মানে।।
পেটের জন্য ভিক্ষা থেকে ফ্লাশের  আলোর গতিই ভালো।  
দু-বেলাতে চালিয়ে নেবে রুটি'র সাথে মিলবে ডাল'ও।।


তাদের জন্য একশো সেলাম,একশো আশা তাদের নিয়ে।
আজ শিশুদিবস শেষ যেন হয়। আভিজ্যাতের এ কনভয়ে
ফেসবুক থাক ভগবান হয়ে,ওই ছোট্ট শিশুর তিন বেলাতে।
শিশুদিবস মেখে থাকুক দাদা-দিদির গ্রুপফটো'তে।।
রচনাঃ ১৪-১১-২০১৯ (লেনিনগড়)