এ শহর জানে, ভেজা প্রেমিকের হাতে-হাত রেখে মন ছুঁতে।
এ শহর শোনে,একশো কান্না কংক্রিট বুকে কান পেতে।।
শত কোলাহলে ভেজা পাতাদের রঙ ছুঁয়ে গেছে কার্নিশে।
তবু শুয়ে আছে তিনশো বছর একশো রঙের অভ্যাসে।।


এ শহর দেখে, নির্যাতিতার  শাড়ির আঁচল কোন খানে?
কোন জাতি'তে জন্মকথা, কোন ঠাকুরের ধূপ কেনে?
এ শহর আজও বুক পেতে দেয় অন্ধকারে ধর্ষকের।
রূপকথাতে শহর রাণী, চুপ থেকে যায় বন্দুকে।।


এ শহর, আজও কাঁদতে বসে, চুপ করে ওই কান পাতও-
হাসতে থাকে রঙের মায়া, বাড়তে থাকে বজ্জাতও।।
ব্রিগেড সাজে রঙিন আলোয়, অন্ধকারে শান্তি চায়।
রাম রহিমের রক্ত খেলায়, টুকরো শত অভিপ্রায়।।


এ শহর, যদি ক্যানভাসে আসে- রঙ ফিকে হয় দুঃখে তার।
তিন সহস্র বছর গেলেও শুনতে হবে এ চিৎকার।।
ধর্মের মাথা কাটা গেছে কার? কার মন্দিরে প্রাণ চুরি?
কার ভগবান আল্লার হাতে? কার কোলে রাখা শর্বরী?


কলমে বেকার শব্দ সাজানো, বেকার সকল অভ্যাস'ই ।
চায়ের কাপে ঠোঁটের পরশ ধোঁয়ার স্বপ্নে খুব ভাসি।।
এ শহর থাক সাদাকালো রঙে বুদ্ধিজীবী'র বুলবুলে।
ক্ষুদ্র আশা মহীরুহ হোক সকল রঙের পথ ভুলে।।
রচনাঃ ১০/১১/২০১৯ (লেনিনগড়)