নীলম্বরী,
রাতজেগে কবিতা শোনার আগ্রহী পাঠক
ইদানিং আর দেখছিনা এখানে, তোমার মতো করে
রিক্সার হুড টেনে, অচেনা পথে হারিয়ে যেতে যেতে
মেটাফিজিক্যাল, রোমান্টিক আর ক্লাসিক্যাল কবিতা শোনার পাঠক
এখন আর যায় না দেখা এ তল্লাটে।



নীলাম্বরী জানো,
কবিতাগুলো এখন বড্ড একাকী হয়েগেছে
একে একে কবিতা থেকে হারিয়েছে ভার্সিফিকেশন, হারিয়েছে প্রোসোডি
কনসাইট, সিমিল কিংবা ইমেজেরি কালেভদ্রেই এখন কবিতায় আসে।
এই কবিতাগুলো আর এনে দিতে পারে না তিস্তার পানি,
আরাকানের শান্তি কিংবা কোন ফিলিস্তিনির মাতৃভূমি ।


শুনে হয়তো তুমি,
দাত কেলিয়ে হাসবে নিলম্বরী, তবে সত্যিই বলছি আমি।
তোমার সাধের কবিতা আর চালের দামও পারেনা কমাতে।
বেকার আর অসহায় যুবককে চাকরি??? ধুর তাও পারেনা দিতে।
গুমোট আঁধারে বসে থাকা বিধবা রমনীর মতো কবিতা গুলো বড্ড অসহায়,
বিশীর্ণ চোখ গলে পড়া অশ্রুই এখন প্যাপিরাসে কবিতা হয়ে রয়ে যায়।


তার থেকে চলো,
এই কবিতা গুলোকে, তুমি আমি বিষাক্ত হেমলকে, হত্যা না হয় করি!
কিংবা ওদের চড়াই শূলে, নয়তো ব্রাজেন বুলে।
হাজার ডিগ্রি তাপে, বিদগ্ধ হওয়া কবিতার আর্তনাদ দেখে
তুমি আমি সব কিছু ভুলে, কফির পেয়ালা নেব হাতে তুলে।
এভাবে কবিতা হত্যার পরে বন্যার পানি যদি কমে যেতো!
ফিলিস্তিন আর আরাকানের শান্তিও যদি আর না হারাতো!