শ্রাবণ এলেই আমার মন খারাপ হয়।
একবার শ্রাবণে বাবা অসুখে পরেছিলেন
দেউড়িতে বসা বাবার পাশের মা’র শীর্ণ মুখ
আমার মন খারাপ করেছিলো।
বাবা চলে গিয়েছেন উনিশ শ্রাবণ আগে,
তবু মন খারাপের দুষ্টচক্র থেকে বেড়িয়ে আসা হয়নি আর।
শ্রাবণ এলেই আমার মন খারাপ হয়
কিংবা আমিই শ্রাবণে মন খারাপ হয়ে উঠি।


নীরা যেবার আমার কাছে আসে সেবার শ্রাবণে
মন খারাপ দেখে আমায় শাড়ির আঁচল করে বুকে জড়িয়েছিলো ও।
অথচ শেষে কিনা আমার মন খারাপের উত্তাপে, উল্টো পুড়ে গিয়েছিলো ওর মন।


পরের  শ্রাবণেও মন খারাপ হওয়ায় আমি মেঘ হয়ে গিয়েছিলাম।
নীরার পুড়ে যাওয়া মনের উপর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ার ঠিক আগ মুহুর্তে
বন্দী হয়েছি, ডুবেছি মন খরাপের সাগরে।


গতবার  শ্রাবণে দ্বীপ হয়ে জেগেছিলাম আন্দামানের কাছে
পূর্বাহ্ন-অপরাহ্ন’র সূর্য সাথে করে মন খারাপ তাড়াতে ব্যাকুল ছিলাম খূব
কিন্তু মন খারাপের সুনামিতে একদিন আবারো ডুবে গিয়েছিলাম সূর্য সমেত।


এই শ্রাবণে মন খারাপ হওয়ায় আমি পথ হয়ে গেছি
প্রতিটি পথিককে বাধ্য করছি আমার মন খারাপের গল্প শোনাতে।


সামনের শ্রাবণে আমি বাবা হবো
মন খারাপ হওয়ার আগেই আমায় দুটো কচি হাত ছুঁয়ে দিয়ে
বলে উঠবে বা....আ.....বা...
সামনের শ্রাবণে বাবা নেই বলে আমি আর মন খারাপ করবোনা।



১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ খ্রি
ঢাকা।