বাবার খরচের খাতায় শূন্য আসলে তিনি আসতেন
শূন্য খাতায় নেমে পড়তেন, ঠিক যেন নক্ষত্রের মতো
শূন্য হাড়ি তখন আবার দুমুঠো চাল সমেত উনুন পেত
আমাদের অপেক্ষার প্রহর থামিয়ে  তার পেটে
ক্ষুধারা সব খুঁজে নিত নিরাপদ আশ্রয় ।


তার ক্ষুধা যেন ধরাধামে  প্যারাডক্সের প্যারাডক্স,
ওশানোগ্রাফিক সূত্র , একাত্তর ভাগ জলরাশি,
এ দিয়েই তিনি ক্ষুধা লুকোতেন।
আপনি খাবেন না?এমন প্রশ্নে  
পুনরাবৃত্তির সূত্রই যেন পুনরাবৃত্তি পেত।
ক্ষুধা নেই বাবা তুমি খেয়ে নাও।
বাস্তুসংস্থানের পিরামিডে তাকে এক উৎপাদক ছাড়া কিছুই হতে দেখিনি।
উপযোগ বিধি মেনে তার উপযোগ মেটানোর প্রয়োজনও কখনো পড়েনি।


বিশাখা, কৃত্তিকা কিংবা অনুরাধা আমাদের নক্ষত্রীয় রাশিতে
যা সব মঙ্গল তিনি যেন সবই হতে চাইতেন।
অথচ নিজের জন্যই কোন নক্ষত্র বরাদ্দ রাখেননি কখনো।
তার কোলে মাথা রেখে যখন চাঁদ দেখতাম
তাকেও আমার তখন চাঁদ মনে হতো।
নিঃসঙ্গ রাতে যে সবাইকে  সঙ্গ দেয় অথচ সৃষ্টিলগ্ন থেকে যে কিনা নিঃসঙ্গ।
তিনি যেন আমার দুঃখের মেন্ডেলের সূত্র, লিথাল জিন।
আমি তাকে দুঃখ বলেই ডাকি,
তোমরা তাকে হয়তো মা নামেই জানো।


অকবিতাঃ দুঃখ
বিলিয়ার রহমান রিয়াজ
৩ রা সেপ্টেম্বর 2021 ইংরেজি
পটুয়াখালী, বাংলাদেশ