ধু ধু বাতাসে নেচে চলে কাশফুলের ক্ষেত
ছনের চালের খাঁজ দিয়ে স্বাগত জানায় পূর্ণিমার চাঁদ
ডেরার বেড়ার ফাঁক দিয়ে আমি বাড়িয়ে দেই হাত
ভরা পূর্ণেন্দু স্নান করে দেয় জীর্ণ সেই হাত।

শরতে আপন কাশফুল গ্রীষ্মে তপ্ত দুপুর
হেমন্তে যে আসা জাগে মনে
বসন্তে ভাঙ্গে সর্বনাশা বৈশাখী ঝরে।


ডেরার ঘরের কোনে বাঁধা দুইটা ছাগল
খানিক দূরে ভাসে কিছু হাঁস
এই তো মহা সম্বল
পৌষের শীতেও জোটেনা এক খান কম্বল
দুই ক্রোশ  দূরে স্কুল তিন ক্রোশ  বাজার
এই তো হাল পদ্মার রাজার।


লোকে বলে চৌরা...!
বাপ-দাদার ভিটা হারা...!
এই তো আমরা কিছু পদ্মাবাসী
আপদ-বিপদে পদ্মাই শুধু প্রতিবেশী
কত যে আপন
সারাজীবন নাও ভাসিয়ে মিছাই  বুনি হাজার স্বপন।