শব্দের পাঁজরে ঝুলে আছে—
একটি ভাঙা শিশু,
চোখে কোনো ডেটা নেই—
আছে কেবল ধোঁয়া আর ধ্বংসের পিক্সেল।
তাঁবুর নিচে কাঁপে এক মা,
বুকের দুধে শুধু ব্যথার প্রোগ্রাম,
ক্ষুধার বাইস্কোপে ঘুরে ঘুরে
দেখায়—
একটি থেমে যাওয়া দুপুর,
একটি না খাওয়া গল্প।

রূপক বালির মতো উড়ে যায়,
একটি পুড়ে যাওয়া কাকতাড়ুয়া দাঁড়িয়ে—
গণিতের মতো নীরব,
আর অ্যালগরিদম গলে গলে পড়ে—
টিনের চালের উপর,
যেখানে কালো ড্রোন গায় লাল কাফনের গান।

ছবি বদলায়—
একটি কন্যা,
মায়ের মুখ থেকে উঠে আসা দীর্ঘশ্বাসে
ফুলে ওঠে প্লাস্টিকের বেলুন,
তারপর তা—
ফেটে যায় স্নাইপারের চোখে।

তবু, রাত্রি থেমে থাকে না।
বায়ুমণ্ডলে ‘হিউম্যান রাইটস’ শব্দটি
জ্যাম হয়ে ঘোরে,
আর শিশুরা
এক এক করে কোড হয়ে যায়
ডাটাবেসে—
নামহীন, দেশহীন,
ক্ষুধার হিসেব ছাড়া।

সবুজ কণ্ঠের কান্না—
একটি বিকল অ্যালগরিদমে
বারবার ফিরে আসে,
যেন লুপ থেকে
কেউই আর বের হতে পারে না।

বাক্সে ঘোরা বাইস্কোপ জানায়—
“এই তো মানবতা,
একটি চলচিত্র,
যেখানে বাস্তবের মুখ ছিন্নভিন্ন।”

একটি ছোট্ট হাত
মাটি আঁকড়ে ধরে,
এখনও বাঁচতে চায়,
তবু—
ক্ষুধা সেখানে
একটাই উত্তর জানে-- মৃত্যু।