অলস দুপুরে মোদের পুরুলিয়া প্রবেশ
উদীপ্ত সূর্যের তখন অনুপম উন্মেষ।
কথা বলেনি অভিমানী রুদ্র পলাশ
কিংশুক পুস্পের কেবলই মৃগাঙ্ক পত্রবিলাস।
নির্জন শৈলশিরার নির্বাক নিশ্চুপ অবস্থান
যেন হস্তবিহীন মৌন, জাগ্রত জগন্নাথ।


পুরুলিয়া মানেই রুক্ষ,শুষ্ক,জরা জীর্ণ
কষ্ট,ক্লেশ ও আদিমতায় বিদীর্ণ।
কঠিন,নিঃস্ব রিক্ত অসীম শূন্য
কখনও বা বর্ষাস্নাত অমিত লাবন্যে পরিপূর্ণ।
কখনও ধূসর নগ্ন নির্জন জয় দ্বীপ।
কখনও শান্ত সৌম্য মিথুন কান্তি সঞ্জীব।
বন পাহাড়ির কোলে দণ্ডায়মান সবুজ উদ্ভিদ
যেন যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি পদে অভিসিক্ত অরিজিৎ।


কভু তুমি শান্ত অমিয় কভু দুর্গম বিচিত্র
নির্জন নির্বাক প্রস্তরময় এক তীর্থ ক্ষেত্র।
কখনও নৃত্যপটীয়সী দেবযানী রুপী চঞ্চল নির্ঝর।
কভু তুমি তরঙ্গায়িত উন্মুক্ত অঞ্জন প্রান্তর।


তবুও পুরুলিয়া তুমি অনন্যা
অসীম সৌন্দর্য পরিপূর্না।
বহুপরিচিতা স্বজন
রুদ্রাক্ষের মোহময়ী দেবাঞ্জন।