সহজ প্রাণায়াম হয় দশ প্রকার
স্বামী শিবানন্দ সরস্বতীর অবিস্মরণীয় আবিষ্কার।


প্রথম প্রকারে করিয়া শয়ন
হস্ত ও পদ ক্রমান্বয়ে ঊর্ধ্বে সঞ্চলন।
তাহার সহিত নাসাপথে ধীরে পূরক
পূরকের অধিক যেন হয় রেচক।


দ্বিতীয় প্রকারে পদ্মাসনে বসিয়া
ধ্যানস্থ চিত্তে নিঃশব্দে চক্ষু মুদিয়া।
নাসা পথে শ্বাসবায়ুর ধীরস্থ পূরক
অতপর মুখ পথে পক্ষী চঞ্চুর ন্যায় ধীরস্থ রেচক।
দ্রুততার সাথে শ্বাসবায়ু  না হয় ছাড়া
যেন মনে হয় অবিচ্ছেদ্য এক তৈল ধারা।


তৃতীয় প্রকারে পূরকে সশব্দে স্কন্ধ উত্থান
রেচকে সশব্দে তাহার প্রস্থান।


চতুর্থ প্রকারে উদর বায়ু শূন্য করিয়া
ধীরে ধীরে অন্ত্র ভীতরে টানিয়া,
পীষ্ট পর্যন্ত উদর টানিয়া লইয়া।
ধীরে ধীরে রেচক বায়ু দাও ছাড়িয়া।


পঞ্চম প্রকারে ধীরে শয়ন করিয়া
নাভিস্থানে হস্ত যুগল রাখিয়া মুদিয়া,
ধীরে ধীরে প্রানবায়ু করিয়া নীরিক্ষন
পূরক অপেক্ষা রেচক হইবে দীর্ঘক্ষন।


ষষ্ট প্রকারে নাসাপথে পূরক বায়ুর প্রবেশ
অতপর চারটি স্ট্রোকে মুখ পথে রেচক এর নিঃশেষ।


সপ্তম প্রকার খুবই কমন
নাসিকা মুদ্রায় হস্ত মুদিয়া অনুলোম বিলোম।


অষ্টম প্রকার হয় শীতলী প্রাণায়াম
গোলাকৃতি জিহ্বা দ্বারা পূরক
ঢেউক গিলিয়া কুম্ভকের পরে ধীরস্থ রেচক।


নবম প্রকারে দন্ডায়মান হইয়া
বক্ষদেশে দ্বিহস্ত আনিয়া
ধীরে পূরক পূর্বক কনুইয়ের প্রসারন।
রেচক পূর্বক পুনরায় স্ব স্থানে হস্তের গমন।


দশম প্রকারেও দন্ডায়মান হইয়া
মস্তক উর্ধ্বে হস্ত সঞ্চালন করিয়া
ধীরে ধীরে শ্বাসবায়ুর হইবে পূরক,
অতপর হস্ত জানু স্থানে প্রস্থান পূর্বক রেচক।


স্বামী শিবানন্দ মহারাজকে করিয়া স্বরণ
প্রত্যহ এই দশ প্রাণায়াম করিলে অনুশীলন।
দেহ মন আত্মার হইবে নিয়ন্ত্রণ
হইবে সকল রোগ নিবারন।


স্বামী শিবানন্দ মহারাজের এই প্রাণায়াম কথা
যুগে যুগে প্রসারিত হোক এই নিরোগ বার্তা।