অগ্নিদীপক
         বিপ্লব দাস


অকপটে স্বীকার্য আজ–
পৃথিবীর যা কিছু ভালো –মন্দ সবকিছুই দেখাও তুমি।
দূর থেকে চেনাও প্রিয়জনের মুখ
পৃথিবীর সৌন্দর্যের তুমি আসল রূপ
তুমি ছাড়া এই পৃথিবী আঁধার ভৈরব।
অপটু মনে, দুঃখের ভাব ফুটে ওঠে তোমারই জন্য
আমার জীবনের ক্ষতচিহ্ন গুলো সরে যায় অনায়াসে।
গগনচুম্বী গন্ডির ভিতরে আবদ্ধ করে রাখো আমাকে
গড়াগড়ি লুটের ভোগ খুঁজতে সাহায্য করে রাজারহাটে;
মূল্য–অমূল্য সবকিছুই ফোটো তুলেছো মাপোনী করে।
ভস্মে ঘি ঢেলে চোখের আগুনে রুটি শেকে
খাওয়ার পরিচর্যায় মেতে ওঠে দুগ্ধ ফেননিভ  দিয়ে।


জানা-অজানা বিজ্ঞাপনপত্র বুঝে নাও এক নিমিষে ,
জন্ম পাবার পর পঙ্কজ ফুটিলে–
মাতারানি কার্টুন মুখগুলো চেনাই আঙুল নেড়ে,
বর্ণমালা– ধারাপাত চিনে যাও অঙ্কিত অক্ষরে।
মুষ্টিবদ্ধ করতালুর মতো আজ তুমি বিশাল
পরিসীমা রূপে
সর্বদা ছুটন্ত উন্মাদবেশ  বহু সৌন্দর্য দৃশ্য দেখতে।


বলিকাটে জীবের মস্তক কাটা মায়ের কাছে
নারাজ তুমি ঝলসানো রক্তবর্ণ মাতৃ বিচ্ছেদ
তুমিই আবার দেখাও সেই ভোজেরই পাতে।
মরণোত্তর পর্যন্ত ক্লেশ ছটায় ভেজাও তুমি
মুখ থেকে বুকের মায়াময় চূড়া,
কখনো লজ্জায় তোমার পাতা ঢাকো।
শান্তিপূর্ণ হও তুমি নিশুতি বিরতি
সত্যহীন ছাল ছাড়ানো রংধনুর বিকেল পুনরায় দেখতে পাও তুমি।
মাথার কেশ এই ভাবে কবে ঝড়ে পড়েছে
আলোকচিত্রে তোমায় শুধু ঘৃণার ছায়ায় ঢেকেছে।
রাশি রাশি বিষের জ্বালায় আমরা বিষম খেয়েছি
দয়াবান মানুষ নেই একটাও
ধূম্রবর্ণ আঁখি দিয়েছি তোমায় সর্বদা প্রত্যাশা–
অগ্নিদীপক পেয়েও জানাইনি তোমায় ধন্যবাদ
মন খুলে আজ তোমায় জানাই ধন্যবাদ
বিশ্বজয়ী তুমিই– সেই আঁখি
পরিশেষে সমস্ত গাত্রকে জানাই ধন্যবাদ।


           রচনা– বিপ্লব দাস
         ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭