"আগুন সেতার"
        বিপ্লব দাস


ফিরে ফিরে ফেরানো যায় না কিছু–
ছেলেটির পায়ে পায়ে এ শহরের ফুসফুস রোগের ছুঁচালো দণ্ড ফুঁটে থাকে।
ব্যাগ থেকে বের করা অর্ধরুটি খুঁজে নেয় ঠিকানা।
নরম পালকের মতো শরবিদ্ধ ঝংকার শহুরে মাছেদের।
যীশুখ্রিস্টের  মৃত ছবির উপর ভক্তি ঠুঁকে–
জীবনভর রংমাখা ঘুঘুবাজি।
পরিনামের তীক্ষ্ণ আঙ্গুলগুলো বাজিয়ে দেয় নড়বড়ে সেতারের ন্যায় হাড়গুলো।
তারা ডানাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাইয়ে দেয় আগুন শরবত।


খুচরো পয়সার মতো সাজানো আছে শ্রমিকের দল।


ফিরে ফিরে ফেরানো যায় না কিছুই,
সেই মুহূর্তে ভিড়ে যায় খুব কাছে মৃত্যু।
ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে ঈশ্বর ভক্তি বেমানান।
এ শহরের আনায় কানায়
প্রিয় মানুষটি সুস্থ  হৃদপিণ্ড ছুঁয়ে  দেখতে চায়।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আপনি মুসাফির হয়ে, সন্ধ্যা শহরে ঘুরাতে পারেন প্রিয় মানুষটিকে।
এমন অনুপম নকশা আঁকেন  না আপনি।
প্রিয় মানুষটি দরজা থেকে বহুবার ঘুরে গেছে,
টেবিলে চায়ের কাপ ঠান্ডা হয়ে যায় বারংবার
"মুখবই"য়ের গভীর খাদে ডুবে থাকেন,
মিথ্যে নিঃসঙ্গ স্ট্যাটাস দেবার বদলে
প্রিয় মানুষটিকে বাহুডোরে নিয়ে বঞ্চিত সুখ টুকু দিলে দিতে পারেন।
সে পাথুরে মানুষের দল আপনারা বোঝেন না।
সে প্রিয় মানুষটি  আজ সুস্থ ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দেয় হাত দিয়ে,
  যেন এ ক্ষণেই  শেষ হয় জীবনের সবটুকু।


তবু আজো ছোট্টু টুসু ক্রিং ক্রিং শব্দ শুনলেই ছুটে যায় দরজায়,
তার মুখে  সূর্যমুখীর আভা।
আজ তার বাবা নেই...
জীবন যাবার অন্তিমে–
অনাবিল আনন্দে হাড়গুলো সেতার রূপে বাজিয়ে দিয়েছিল শহুরে  দস্যু।


ফিরে ফিরে ফেরানো যায় না সত্যিই কারো জীবন,
তবুও ফিরিয়ে দেবার জন্য নৈপুণ্যহীন মায়াবী আলিঙ্গনই যথেষ্ট।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২২/০১/২০২২