"একটু কথা বলার সময় আছে আপনার"
বিপ্লব দাস
আমার বুকে ঠাণ্ডা হাতটা রাখতে বলিনি–
ধুকপুকানি শুনতেও বলিনি গো।
আমার সঙ্গে দূর বহুদূরে যেতে বলিনি ভ্রমণে ।
তলিয়ে যাক অশ্রুকণা নিঃসঙ্গ আঁধারে
তলিয়ে যাক।
কক্ষনো বলবো না চিবুকে উষ্ণ আদর এঁকে যাও।
বলবো না ৩৬৫ দিন সংখ্যার কাছে এসে চোখ মুছে দিয়ে যাও।
আমি নামক কলঙ্ক বনস্পতির ছায়ায় এসে
দু'দণ্ড বসে জিরিয়ে যাও
কখনো বলবো না
আমার হৃদয়ে ছবিঘর সাজাও সযত্নে
দক্ষ কারিগরের মত
বলবো না।
আমি প্রজাপতির আবির রং মেখে যাও
পাতাঝরা নুপুর শব্দে হাঁটবো দুজন প্রান্তরে।
আমার জন্য কবিতা সেও লিখতে বলবো না,
কলমের কালি নষ্ট করে
রাত জেগে জেগে
আমি তো তোমার কবিতার নায়িকা নই।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেও দেখেছি–
পিছন থেকে সিংহ বিদ্যুৎ গতিতে ছুটছে
আমার শরীরে কামড় দেবার জন্য।
অনিচ্ছায় আমার বনানী খেতে দিয়ে সহস্রবার।
আমার জীবনের জলসাঘর নেই
কি যেন নেই নেই – ই আজীবন
থাক –থাক এই সব কথা
কী সব যে বলে যাচ্ছি?
শুধু বলবো অজস্র লিখে যাও– অজস্র,
ফুটপাতের মায়েদের মায়ের কান্না,
বেকারত্ব ছেলেটির বেদনা,
বাবা হারা মেয়েটির যন্ত্রনা,
মৃত্তিকার প্রসব কাতর কন্ঠ
পৃথিবী কে কতদূর খেয়েছে ঘূনপোকা
কতদূর?
শ্রমিকের বুকে কতটুকুই বা পেরেক গেঁথেছে– জেলিফিশ মানবী।
পৃথক –পৃথক প্রার্থনা কর তাদেরই নামে–
লেখ শুধু তাদেরই নামে,
আর হ্যাঁ, কখনো যদি পারো গোলাপের পাপড়ির মত হাতখানি রাখো তাদের হাতে।
আমার জন্য রাত জাগা চাঁদ হতে হবে না
বা নির্জন রাত সেটাও না
বা গল্প শোনার শ্রোতা।
আমার মরুভূমির হৃদয়ে তুমি উঠবে যখন সূর্যের মতো
একটু জানতে চাইবো
একটুই জানতে চাইবো অবলীলায়
"একটু কথা বলার সময় আছে আপনার"
রচনা– বিপ্লব দাস
৫ ফেব্রুয়ারি২০২১