"আমার নামে একটা কবিতা লিখো"
       বিপ্লব দাস
(উৎসর্গ–কোনো এক প্রিয়জনের জন্য)


বাতাস বাড়িতে আজ তোমার কথাখানি
ফুলের মত ঝরে পড়ছে।
তোমার শুদ্ধতম হাসির ফোয়ারায় ,
স্বাধীন চেতনায় আঁকড়ে ধরা রসনায় মেতে উঠেছি।
অপ্রয়োজনেই এত সোহাগমাখা পাখির কলতান।


কষ্টের আঁধার মাদুর বোঁটা ছিঁড়ে এ জনমে শেষ আদরে  বৈকাল খাদে সঁপে দিয়েছি।
বিশ্বব্রহ্মান্ডে ভালোবাসার 'বাসা খানির' অস্তিত্ব এত সুন্দরময়, ঐশ্বর্যময়ভাবে গচ্ছিত ,
ভাবিনি কখনো, আজ মনের মধ্যে এক আঁকুপাঁকু জীবনানন্দ।
প্রেয়সী তোমার ভালোবাসা, আমার পরম নৈবেদ্য।


তোমার হৃদয় মানচিত্রের অচেনা জায়গাগুলোও ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ,
হৃদয়জুড়ে সুখের অস্তিত্ব।
পরিত্যক্ত এক  নীলিমা সঙ্গিনী  চলেছে হাজার যুগ ধরে।
এত ক্লান্তি, অনিচ্ছা, বৈকাল  ভিক্ষা চাইবে ভাবিনি।
আর ফিরিয়ে দেবার তো আত্মার কোন প্রশ্ন চিহ্নই নেই
শুধু, শুধু  ফিরে এসো, এইই অনুরোধ।


তোমার দেহখানি স্বেচ্ছায় দিয়েছো সঁপে,
আর তোমার জীবন, জীবনটাই নাকি আমার।
তাই আজ ধরিত্রীর ছিন্নভিন্ন আঁচলে,
সত্যতার সূর্য তুমুল আড্ডায় মেতে উঠেছে।
বিহঙ্গের অনুপম সন্ধ্যা কলতানে ভরে উঠেছে।
একখণ্ড নির্মল আকাশ
শুধু তোমারই হোক,
আর আকাশের যে কটা ফোঁটা বৃষ্টি নামবে,
সে পুষ্পবৃষ্টি তোমারই।
এ জনম তোমাকে দেখে শেষ হোক,
এ জনম তোমাকে লিখে শেষ হোক।
মনে হয় আজ কবির ভাষায় সত্যিই কবিতার কোন মৃত্যু নেই।


বাতাসে বয়ে বেড়ানো অমূল্য পংক্তিমালা,

লুকিয়ে ছিল তোমার আত্মার অতলে।


দেখেছ প্রেয়সী? এই দূরত্ব, অপেক্ষা, কঠিন উপেক্ষা
ফু‍ঁটে উঠেছে তোমার নামে এক ধ্রুব কবিতা,
অপ্রয়োজনেই ভালোবাসার নামে ঘুঙুর বাজে সর্বদা।
সংসার কোন মরুভূমি নয়,
খেয়ালে রাখলে এ তো একেকটা পরিশুদ্ধ কবিতা পাতা।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৫/০৫/২০২২