"আমি কোনো দুঃখবিদ্ধ মানুষ নই"
বিপ্লব দাস
আমার মানচিত্র জুড়ে কোনো দুঃখের জলাভূমি নেই।
না আছে পাহাড়ের বুকের মত টুং টুং করে ছেঁদ করা
মানুষের দেওয়া দুঃখ জখম।
এগুলো আমায় স্পর্শ করতে পারে না।
আমি কোনো দুঃখবিদ্ধ মানুষ নই।
যে পাখির বাসা হওয়াই ভেঙে যায় ,সে দুঃখ পায়,
মানুষের মাত্র একটা একশো টাকা নোট হারিয়ে গেলে দুঃখ পায়,
মানুষ বিচ্ছেদের পর দুঃখ পায়,
মানুষ ভীষণভাবে একা হয়ে গেলে দুঃখ পায়,
মানুষের জীবনযাত্রা জুড়েই শুধু দুঃখ দুঃখ বৃত্তান্ত।
আমি কোনো দুঃখবিদ্ধ মানুষ নই ,
তবে কি আমি অমানুষ?
তবে তার জন্য আজ দরখাস্ত দায়ের করেছে ঈশ্বরের আদালতে আমার নামে।
হে নব কিশোরী...
হেঁটে যাও, তুমি হেঁটে যাও– লাভাময়ী পা দিয়ে মচমচ করে আমার শরীর দিয়ে,
বা চোখে কাজল পরিয়ে দেবার নামে হাসিমুখে ঢেলে দাও
আমার দুচোখে অ্যাসিড।
বাস্তবের উপর জলজ্যান্ত ডাইরিতে লেখা কবিতাগুলো গায়েব করে দাও।
বা প্রিয় মানুষের দেওয়া হাত ঘড়িটা ইচ্ছাকৃত ফেলে দাও নদীতে।
তবুও যদি দুঃখ জেগে উঠে আমার।
একটাই জীবন যে যেমন পারো,
দুঃখ দেবার মন্ত্র গুলো ছুঁড়ে দাও আমার দিকে।
একটাই জীবন... একটাই।
তোমাদের বাক্যাবানে সার্কাস নাচাও আমার হৃদয় কুটিরে,
আমি বলছি একবার নয়,
দুঃখ দেবার প্রচেষ্টাগুলো চালিয়ে যাও হাজার হাজার বার।
তবুও বিন্দুমাত্র দুঃখ আমায় স্পর্শ করতে পারবে না।
কারণ, আমি কোনো দুঃখবিদ্ধ মানুষ নই।
ঠাকুরদা মৃত্যুর পূর্বেই দুঃখ না পাবার
মন্ত্র শিখিয়ে দিয়েছে আমায়।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২/০৮/২০২২