"আমি শুধু দেখছি, চোখের পাতা খুলে"
     বিপ্লব দাস


এ দেখা যেন শেষ না হয় ঈশ্বর,
এ দেখ যেন শেষ না হয়।
অনন্ত কিংবা ক্ষীণ জীবন ধরে যেন দেখে যেতে পারি।
কণামাত্র যেন মনের আকাঙ্ক্ষার রেসটুকু না কমে।


আমি আমার ভেতরে যেন সাগরের ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ছি,
কেঁপে কেঁপে উঠছি বারুদগ্রস্ত, প্রেমের নীলাম্বরী ছোঁয়া অক্ষরে।
রজনীর লতাকুঞ্জে নিজেকে পেচিয়ে,
বুঁদ হয়ে বুনে নিচ্ছি মনের পাতা।
ব্যাধিগ্রস্ত ব্রহ্মান্ডেও চাইনা আজ পাখি, মানুষ, ফোঁটা ফুলের  অতিসামান্য কণ্ঠস্বর।
বেমনের যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যেতে পারি।


কবির মহাকাব্যের মন কৌটোয় একটা মন্দির আছে,
সেখান থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ বুলবুলি পাখিগুলি
আমাদের মনকে ঠুকরে ঠুকরে তছনছ করে দেয়, পাগল করে দেয়।
তবুও আমরা বলি– "কবি তো অন্য জগতের মানুষ"
আমার মত পাঠক হয়ে একবার বলুন না একবার –
তারাও এ সমাজে আমাদের মতই "দু পেয়ে মানুষ"।


আমি শুধু দেখছি আজ চোখের পাতা খুলে কবির কলমের কালিতে ছড়ানো শ্রমিকের নিঃসঙ্গ নীল চোখের বর্ণনা, প্রেমিকাকে না পাওয়ার অনুপম আকুতি।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৫/০১/২০২২
রাত৯টা ৪৯