অসভ্য দর্শন
বিপ্লব দাস
নিজেকে কালি করতে করতে
আর –
কত কলঙ্ক পোশাক পরিধান করবে।
বিন্দুমাত্র সেই তেজস্বী রেসটুকু কেন কমে না?
পরনিন্দার তৃষ্ণায় দেদীপ্যমান
নৃশংস যন্ত্রণা,
পিছু দেখা-সাক্ষাৎ ছাড়বার নয়।
আমি চুপচাপ এই দেউলিয়া তামাশা দর্শন দেখে যাব।
দিনপঞ্জীর সবটুকু সময় দীপ্ত রসনায়।
কোনদিন হৃদয়ে ভালো থেকে– ভালোর বোতাম বন্ধন,
প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায়।
তুমি কি ঢুঁ মেরে দেখেছো!
জিন্দা অহম পিপাসা উষ্ণতা,
"জিজ্ঞাসা চিহ্ন" থার্মোমিটারে লটকে রাখা যায় না।
এ তোমার জীবন সংগ্রামের মহিমা!
জ্যোৎস্নারাত্রে চাঁদকে সূর্য রূপে সিগারেট জ্বালাতে চাও,
তোমার পকেট এ বাঁকা, সরল, কুচকানো ভ্রুর সমাহার।
তুমি যেন ব্যর্থ প্রেমিকা পুরুষ হয়ে থেকে গেছে।
কেন তুমি আউশ ধানের মত গন্ধ ছড়াও না?
আঁধারে জোনাকির মতো জ্বলে উঠো না।
এ তোমার অসভ্য দর্শনের সমাহার।
খারাপ ভাবতে ভাবতে তুমি খারাপের পিরামিডে মত দাঁড়িয়ে আছো।
এসব তোমার অসভ্যদর্শন
সমাধি দেওয়ার জন্য তৃণভূমি নেই।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–৫/১২/২০২১