বিষাক্ত তুষার
বিপ্লব দাস
এই জীবনটা পুরো সঁপে দিলাম কুঁড়ে
অন্ধকার ঘরে।
কেউ হাঁ করে চাইলো না
কেউ তুমুল ঝড়ে
তুড়ি মেরে এলো না
এলো না কেউ।
দুঃখের মত ঝড়ে পালক, আঁকি বেয়ে
ভাত আর ভাত নেই,
হয়েছে ভিমরুলের চাক–
ভারত ডুবুক ভালো মানুষ হয়ে
ভাষণে ভাষণে
ভাবুক কবির কলমে ভাসুক–
ন্যাংটো দেশ যাবে ভিক্ষা করে।
সেই জং ধরা জখম
কেউ দেবেনা মলম।
তবুও ভাবি আমরা
ভারত উড়ছে প্রজাপতির ন্যায়
হাই হুই করেই আমরা আশায় হারায়।
এ ছোঁয়াচে রোগে কেউ পা বাড়াবে না–
তৃণ ঘাসের ডগার ওপরে জমে আছে বিষাক্ত
কেউ বলবে না।
আমার সর্বাঙ্গ বিষাক্ত তুষারপাত
শুশ্রূষায় ঋণ কেউ হবে না।
তবুও অভিধানের পাতায় লেখা থাকবে–
দু– টাকার চাল চুরি করে
ফুলের সুগন্ধি ছড়ায় তারাই নিজ বাসায়।
এটাই কি জ্বলছে ভারতের সত্যের কিরণ?
আর পারছিনা মেদিনী–
বিঁধে আছে গলায় কাঁটা।
এই ঐশ্বর্য ভরা ধরিত্রীতে কেন দেখছি লালসা নৃত্য?
ছন্দের মত ছিল ছেঁড়ো আমার মুন্ডুটা কে
তবেই পাব নিরালা শান্তি।
এ জীবন পুরোটা সঁপে দিলাম কুঁড়ে
অন্ধকার ঘরে–
"ধনী জানো না বিধবা হয়
তার ধন রক্ষা করে"।
আজ আর কেউ এসো না
সহানুভূতির কাটায় জর্জরিত করতে
মুখে বিষ ঢেলে দিতে।
জননীর মত মুখগুলো বলবে, মিথ্যে তোমাদের
" ঈশ্বর ওদের দেখো একটু
একটু দেখো"।
আমি আর চাইনা ঈশ্বর–
কোনদিন আসুক সুস্থ প্রভাত
বিষাক্ত তুষারে ভরে যাক আমাদের চারদিকে,
আমাদের চারপাশে।
রচনা– বিপ্লব দাস
তাং–১/০৭/২০২০বিকেল ৪ টা ১৭