বয় সন্ধি
                       বিপ্লব দাস


তুমি বলছো –" তুমি লেখো কবি"।
সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে ।
তোমার রচনায় খাল,বিল, নর্দমা,পাহাড় - পর্বত
মরুভূমি
হৃদয়ের বেদনা গর্জে ওঠা লাভার মত
সমস্ত মুহূর্তগুলো আমি স্বস্তি পাই।
বেদনার বাতিঘরে।
আমার নোনা ধরা বাঁধনগুলো–
তোমার সুরভিমাখা পংক্তিগুলো
এক একটা ফুলের ন্যায় কংক্রিট করে আমাকে।
আঙিনার বুকে শুকনো পাতার উপর
                            তোমার চাঁদ উঠে।
আমি ভাসতে থাকি তোমার কবিতার পৃষ্ঠায়।
                         কবি
এ কি অসুখের বীজ রোপন করলে আমার হৃদয়ে?
তোমার শ্রেষ্ঠ বিস্ময় প্রতিভা–
আমাকে করে চাঁদনী তারা।


                             জানো কবি
‘মা’খুব ভালোবাসতো কবিতা।
কবিতা বলে পেয়েছিলো পুরষ্কার
খুঁজিনি আমি কখনও কবিতার কুহেলি সুর।
‘মা’ ঠিকই বলতো
‘মা’ আজ নেই ।
"তবুও মায়ের  মেঠো মাখা পাদুকা জোড়া
বালিসের তল থেকে গন্ধ ছড়ায়”।


আজ আমার বড়ো ইচ্ছে কবি
তোমার কলম হতে
কারণ সংসার কোটরে ঢুকে থাকা দগ্ধ জীবনটা
পেত  চায় অনুপম স্বস্তি।
সত্যি কি শুনছো কবি, আমার  অব্যক্ত  কথাগুলো?


                                 এ কি শুনছি!
আমি যে নিদ্রিত, তুমি কি বলছ আমায়
প্রতিমুহূর্ত?
আমার কানে– কানে
আমি দিবা– রাত্রি হতভম্ব
তোমার ‘তুমি ’কে আজও পাওনি খুঁজে?
সেই জন্যই কি তোমার ত্রিনয়ন মুমূর্ষ?
                              দিশেহারা প্রেমের পথ।
            
            কে তুমি?
কেন হবে আমার কলম?
আমি তো নগন্য নয়ন জলি!
আমার লেখার অন্তরালে তুমি কোন অপ্সরা?
তবুও কি সুখে ভাসতে থাকো আমার নয়ন জলিতে?


হঠাৎ করে আবার বলে যাও আমার কানে – কানে
  “আমি তোমার আকাশ হতে চাই”
বুঝে গেছি তুমি আমার গোপন প্রেমিকা
ঠিক আছে লিখে যাব
তোমার শুভ্র হৃদয়ে আজীবন কবিতা।
    
                        রচনা– বিপ্লব দাস(রাহুল)
                         তাং–১৮/০১/২০২০