"ধাপ্পা"
   বিপ্লব দাস


মহাদেব তুমি আমায় ধাপ্পা দিও না।
আমি  নিত্য জেগে  নমস্কার করি সূর্যকে।
এ শহরের দুর্ভাগা মানুষদের ধাপ্পা দাও
তারা চমকে উঠুক,
বুকে থুতু ছিটোক।
তাদের রুদ্ধশ্বাসে গান্ধী নোটের গন্ধ নেয়,
তারা চিটিং গণিতে ডুবে যায় ভুরু কুঁচকে।
সেসব লোভীমানুষদের আগুন দেওয়া  গোছা ফুলের শুভেচ্ছা দাও।


যাতে ক্ষুধার্ত মানুষদের  কষ্টের তাড়না   উপলব্ধি করতে পারে।


তারা চশমার ভেতর থেকেও দেখতে পায়না।
তারা নিজেই নিজেদের মুখ ভুলে গেছে।
মহাদেব জানো,
যদি পুরো পৃথিবীটা তাদের নামে হয়ে যেত,
তাহলে মানুষরূপী জ্যান্ত কঙ্কালের উপর দিয়ে মচমচ করে হেঁটে যেত ।
আর স্ট্যাচু বানিয়ে ঝাড়বাতি ধরিয়ে দিতো হাতে,
আর চোখের পলক পড়লেই
কাঁচ ভাঙ্গা শয্যায় শুইয়ে দিয়ে
রোলার চালিয়ে দিত।


এ নির্মম  ভাবনার চিত্রপট চেয়ে দেখো তুমি।
মহাদেব, তুমি আমায় স্বর্গীয় চাঁদের দিব্যি দাও,
আমায় ধাপ্পা দেবেনা।
আমায় ধাপ্পা দিয়ে মানুষের কাছে হাসির খোরাক হবে না।
তুমি রক্তচোষা কুলাঙ্গার মানুষদের ধাপ্পা দাও।
পৃথিবীর মায়াবী পিয়ানোর সুরটা ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে দাও।


মহাদেব, এমন ধাপ্পা দাও
যেন তাদের ধমনী থেকে লোভী ধারাপাত ছিঁড়ে আসে।


বিষ নয় , এইই মাতৃভূমির স্তন থেকে যেন বেঁচে থাকার দু ফোঁটা অমৃত ঝরে।
আমি সেখানেই মাথা ঠুকে মরতে পারি যেন সত্যের পাথরে।


রচনা–বিপ্লব দাস


তাং–১৭/০১/২০২২