"ধ্বংস হতে দাও, না হয় জ্বলতে দাও"
        বিপ্লব দাস


তুমি  অপবিত্র..সংখ্যার পেছনে অসংখ্য  সমান্নয়ে  তৈরি।
তোমায়  ঘেন্না করি।।
তুমি নষ্টা, ভ্রষ্টা প্রেমিকা
একবার, একবার জড়িয়ে  নাও এই সূর্যটাকে,
পরের দিন থেকে সূর্য আর উদিত  হবে না।
একবার তুমি পৃথিবীকে ফুটবল হিসেবে লাথি দাও
পৃথিবীর ঘুরপাক খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ।


তোমার চুলের জল ঝরাতে ঝরাতে
                     অদেখার ভান করে চুলের ঝাপটা দাও  আকাশে গায়ে,
আকাশসহ তারাগুলো যত্ন করে তোমার কপালে আঠাহীন টিপের মত টপ টপ করে ঝরে যাবে।


একবার, একবার ছুঁয়ে দাও প্রিয় প্রেমিকা
     একবার...
ত্রিসীমানা জুড়ে আমার মনের এই আকাঙ্ক্ষা।


না হয়, এইই মিথ্যের পদাবলী দেহ নিয়ে মাতৃভূমির একদলা মাটি মেখে নাও শরীরে,


মাতৃভূমিও লজ্জায় চলে যাবে পাতালে।।


যেদিন বলেছিলে তুমি–কবিরা একদম ভন্ড প্রজাতি।
হাজার হাজার মেয়েবাজি করে,
কবির কোনো জায়গা নেই আমার হৃদয়ে ।


সেদিন আমিসহ বিছানা দেওয়াল পলিথিনের মত গলে গলে পরছিল।
আমার রাত জাগা মায়াবী ঐকতান  ভেসে যায়  বিষাক্ত  ভাষ্যে।


সেই দিন থেকে জ্বলছি, আজও জ্বলছি।


এইই পৃথিবীর পাক্স্থলি থেকে শব্দ গুলো খেয়ে নাও  প্রেমিকা।
তাহলে  প্রজাপতিশব্দগুলো কবির সঙ্গে পরাগ মিলন ঘটাতে হবে অক্ষম।


হে  অপবিত্র প্রেমিকা
এমনটি তুমি একবার করে দাও,
হয়ে যাবে পৃথিবীর ধ্বংস
আর যদি না পারো,
এইই যেমন জ্বলছি দিন–
দুপুরে
ভালোবাসা চাওয়া ভিখারী বেশে।
জ্বলবো আমি জীবনে জীবনে,


দূর থেকে তোমার অভিশপ্ত শীর্ষে, অন্তঃকরণে,
তোমার  ছোঁয়াতেই তো আজ দুর্দশার দাবাগ্নি।


তাই অভিমানী মনপাতা ওরে না আর হাওয়ায়,
তোমার দেওয়া মিথ্যে বেদনায়।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২২/০১/২২