দীর্ঘ কবিতা দীর্ঘ সড়ক
         বিপ্লব দাস


বিচ্ছিন্ন বিষের জ্বালা জানো কি রূপবতী ধরিত্রী?  
অন্তর্বেদনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর, অক্ষি বৃক্ষ শুকনো
আলিঙ্গন অপরাজিত আবেগহীন।
আমি তো বিচ্ছিন্নের জ্বালায় জর্জরিত  বিহঙ্গ,
দিয়ে যায় জ্বলন্ত জলাশয়ে ডুব।
তবুও এই 'নুন ভাত' জীবন দরিয়া থেকে,
পালানোর সক্ষম বীজ জন্ম থেকেই মৃত,
দীর্ঘ কবিতা, দীর্ঘ সড়কের শেষ নেই।
চোখের পানি নাই, তবু চোখে ছুরি  বসিয়ে
রক্ত আলপনা দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে আদরিনী  তমসাকে।


জরাজীর্ণ খরকুটোও, কেউ ছুঁড়ে  দেবে না সর্পিল স্রোতে–
বিহঙ্গের বাসর বাসনা ঘরে।


এই ভাবেই বিষন্ন পথের দুয়ার খোলো আপন প্রিয়।


নেই বুদ্ধির নির্জন, স্বর্গীয় স্মরণচিহ্ন–
স্বচ্ছন্দে বাঁচার সৌহার্দ্য মরুভূমি;
গ্লাস ভরা অন্ধকারে  নিত্যস্নান।


'মা  র একগুঁয়ে জমানো অশ্রু আজ মরুদ্দ্যান,
ভেসে যায় আঁধার সড়কে, কল কল শব্দে
দেবতারা  হো হো অট্টহাসি
সুখের  হদিশ করতে করতে পুড়ে ছাই সুখ।


'মা' বাঁচে  তবুও মন মরা হয়ে,
আঙিনা  জুড়ে কুমির ডাঙ্গা খেলা করে,
কষ্ট পাথর মালা পড়ে।
ঘাস ফুলের মত মৃদু হাসি আজ বেদনায় মিশে।
হবেনা কোনদিন সংসারের  শোভা,
ভালোবাসা শব্দটি উচ্চারিত হবে না কোনোদিন নাড়ী থেকে–
কর্তাই আজ জীবিত– লাশ।
দায়বদ্ধতার পায়ে বিশুদ্ধ বাতাস।


আমি সেই– মায়ের হৃদয়স্পর্শী আগন্তুক বিহঙ্গ,
বুঝি মায়ের বিচ্ছেদ বিচ্ছেদের অন্ধকার ছবি অভিধান।


আঙিনা জুড়ে কুমির না থাকার বদলে
                     থাকতো গন্ধরাজ ফুল,
                     থাকতো সুখী কবুতর,
একটু আকাশের দিকে তাকালেই থাকতো ধবধবে ভাত,
              থাকতো সুখের চাঁদ,
     থাকতো ফাটল গোড়ালিতে   আলতা  ।
নেই কিছু এমন ঐশ্বরিক ঠিকানা.............


বিচ্ছিন্ন বিষের জ্বালা জানো কি রূপবতী ধরিত্রী?
     জীবাণু পিণ্ড নিয়ে তুমিই বা কি জানবে বলো?
        শতদল শিশুর ক্রন্দন, অবুঝ মরণ,


         ধরিত্রী তুমি তো নির্বাক ভগ্নাংশ.........


রচনা–বিপ্লব দাস
২ আগস্ট ২০১৯
বিকেল৩টা২২(শুক্রবার)