"গুবলু –মন যীশুর ছায়া"
        বিপ্লব দাস


জানিস নিতু,
ছেলেটাকে কবিতা লেখার কথা বললে–
         শুধু ফ্যালফ্যাল করে হাসে।
তার মিষ্টি হাসি যেন একটা ফুটন্ত কবিতা!
আমার যাত্রার শুভেচ্ছা  প্রার্থনা।
তাই আজ আর ' দুগ্গা–দুগ্গা ' লাগে না
শুধু একটু গুবলু হাসলেই হয়।
তাকে না দেখলে দিন আমার দিন থাকে না,
রাত আমার রাত থাকে না,
কেমন জানি!  ফ্যাসটা ছায়া সাঁতার কাটে মনে,
তারপর কালো অন্ধকারে ডুবে যায়, বুঝিনা নিজেই তা!
ঘর থেকে ও ঘরে যেতে নিঃস্ব, নিঃস্ব লাগে
         মনে হয় বহুদিন তাকে দেখিনি।
তাকে ইচ্ছে করেই বিরক্ত করি,
সে বলে ওঠে,  'হির..হির..হির মাথা'
               তা আমার বেশ ভালো লাগে।
আদুরে গলায় আবারও বেজে ওঠে,বলে–কাকামনি গল্প বলো?
আমি ওকে গল্প শোনায়–
ওর কাছে গল্প ফুরোয় না কখনও।
তাই জোর গলায় আবারও বলে–
মাধবী কাকামনিকে ডেকো না–
কাকামনি আবারও গল্প করো।


আমি বারবার বলি কবিতা লিখতে,
সে অস্পষ্টভাবে কি যেন বলে!
আর ফুলের মত হাসিতে বলে ওঠে– কাকামনি কবিতা শেষ।
আর কি যেন ভাবতে থাকে!
আমি বলে উঠি– তুমি যা বলবে আজ সবই কবিতা হয়ে যাবে।


নিতু... কি ভাবছিস শোন–
–কিছু না দাদা।
স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, নিতুর মুখে শৈশব জড়ানো হাসি।
শোন, শোন...
আজ যখন চোখটা লেগে গেছে
অমনি ছেলেটা  কলমের খাপ খুলে চোখে–মুখে, হাতে কালিতে আঁকিবুকি করছে
করে বলে–কাকামনি দেখো আজ কবিতা লিখেছি ।
আমি হাসতে হাসতে বললাম ভারী সুন্দর কবিতা লিখেছ।
আমায় একটা হাপা দাও?
–  হাপা কি?
–পাপ্পি
–ও এই নাও...
–আ: শান্তি।


নিতু বলে উঠলো–তোর মতই পাগল হয়েছে,
           ও একটা মিষ্টি বাগিচা।
–হ্যাঁ,  বাচ্চারা তো তাই হয় নিতু,
সোনা বোন আমার
            ওরা তো যীশুর মন!
বড়োরা শুধু ওদের ক্রুশবিদ্ধ করে–
আর ওরা  করে দেয় ক্ষমা।
তবে আজ শরীরে কলমের আঁকিবুকি তে
                    শ্রেষ্ঠত্বের কবিতা পেয়ে গেছি।
আগামী দিনের ঘাসের ডগার উপর হিরে– সূর্য
            আমার প্রিয় ছোট্ট বন্ধু গুবলু।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১২/১১/২০২১