যদি না ফিরি!
বিপ্লব দাস
যদি না ফিরি,তোমার কাছে কোনো যায় আসে না!
এমন অশোভন কথা বলতে পারবো না তোমায়।
তোমার মায়া–মায়া কণ্ঠ জাদু ভোলা যায় না।
প্রভাতের হৃদপিণ্ড চিরে নিত্য তোমার আমার আলাপন।
যদি না ফিরি এমন তরঙ্গণ শব্দ হৃদয়ে কম্পিত হলে,
সমস্ত আকাশের মেঘমালা আমায় জড়িয়ে ধরে
এ এমন কষ্ট বোঝানোর থেকে
বোবা হওয়া অনেক ভালো।
আজও অফুরন্ত স্বপ্ন নিয়ে গোধূলি আলোর সঙ্গে ভাগ করো।
অবর্ণনীয় তোমার জীবন ধূপে আমায় করেছো মোহিত।
আমি অর্থপতি হইনি, তবে শিল্পীপতির জায়গাটুকু সাগরের ঢেউয়ের মত গর্জন ছাড়ে।
যাপিত জীবনের অবিশ্বাস্য এক চক্র,
চাঁদ সুন্দরীর মত জেগে উঠেছো আমার আঁধার জীবনে।
কণামাত্র ভাবিনি তা।
আজও মনে হয় এমন ভালো হবার,
সঠিক পথ দেখার সংক্রমণ বায়ু
কেন এলো না আগে?
তোমার নামের যতগুলি মন খারাপের সন্ধ্যা নেমেছে,
আমি সবগুলির সাক্ষী হতাম।
তোমার নামে একেকটা প্লাবিত কবিতার লাইন বাসা বাঁধতো,
আমার মনে।
মাঝে মাঝে তুমি কিঞ্চিৎ অভিমানটুকু ফলাও করো।
আমি জরাজীর্ণ পালকের মত, বৃদ্ধাঙ্গুলে হৃদয় টিপে চুপটি করে থাকি।
তোমার পরশমাখা স্পর্শের মূলধন অশ্রুটুকু
আজ অঝোরে ভেজায় রাত্রিকে।
এমন সুন্দরের ঘনীভূত শান্তির চন্দ্রোদয়,
জীবন অরণ্যে আর কিছু নেই।
যদি না ফিরি এমন কসম দেব না তোমায়,
না ফেরার।
কোটি কোটি বার তোমার কাছে ফিরতে ইচ্ছে করে
দিনপঞ্জি, সময়কে পুড়িয়ে।
না পাওয়ার ধাক্কা খেতে খেতে আজ বৃহৎ না এর পাঁচিল।
এই পৃথিবীর দুর্যোগ কাটাবার জন্য,
সাড়ে তিন ভাগ আমার শরীরের সুস্থতা, উদ্যম, মনোবল
পৃথিবীর অসুস্থতার জন্য আড়াই ভাগ তাকেই দিয়ে দিলাম।
তার সুস্থতায় বেশি প্রয়োজন।
তবেই আগামীর বিশুদ্ধ পরিবেশ পাব ।
না ফেরার অব্যক্ত যন্ত্রণা তোমার,
অতিশীঘ্র ফেরা গল্পে বিকশিত হবে।
আমি যাবোই তোমার কাছে
যেতে হবেই আমায়
কিছু অপূর্ণতা আছে তা পূর্ণ করতে।
সত্যি না ফেরার দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখে সর্বদা জলছবি।
সেই কারণেই বেশি বেশি ফিরতে ইচ্ছে করে তোমার কাছে।
শুধু পালক আবরণযুক্ত হৃদয় খানি রেখো সযত্নে।
রচনা–বিপ্লব দাস
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১