খোদাই খেতে পারে
বিপ্লব দাস
'খোদা' জানে আমার পায়ের স্পর্শ,
কতটা শূন্যে ভেসে থাকে ক্ষুধায়
আমি কতদুর যাবো– যেতে পারি।
কর্মহীনতা প্রারম্ভ জীবনের আঁধার
জ্বলন্ত জ্বালায় পীড়িত।
পৌরুষহীন পুরুষ আমি,
ক্ষমতা নেই পরাগরেণুর মেলবন্ধন ঘটানো।
এত স্বজ্ঞাতে পবিত্র রচয়িতা।
চিতা ভস্মের ধোঁয়া ছাড়ে শাখা-প্রশাখা
তীব্র বাক্যবাণে মিষ্টতা প্রলোভন
হৃদয়টা পেল না আজও একটি আঙ্গুলের ছোঁয়া।
আমি খোদাকে করি প্রার্থনা,
দিবানিশির অবৈধ আহার
ললাটের ভানু আজ অন্ধকার।
শয়তে পারি না তোদের অদৃশ্য লজ্জা
চোখের সামনে স্বাভাবিকভাবে প্রমাণ হয় মিথ্যা,
সুবাস সুবাসের মিলনে উত্তর হয় এক স্বত্ত্বা।
আমি কাঁটাওয়ালা সড়কের কাঁটা তুলতে তুলতে–
যে ক্ষণিক মোমবাতি জ্বালিয়েছি,
প্রতিমূর্তি র দৃষ্টিতে আজ নিভন্ত।
অযৌক্তিক প্রসিদ্ধ মরীচিকা কল্পনা
সত্যিই অন্তহীন,
রঞ্জিত বাক্যলাপ আর যে থামে না।
ক্লান্ত বিকেলের শেষ জমিনে
কি যে পড়ে থাকবে?
জয় না পরাজয় না বিভীষিকা–
এ পথিক জানে।
তুচ্ছ ক্ষুদ্র বেমানান বলে
অবুঝ না।
বাঁকা ভ্রু কুচকানো, তোমার ইশারা অপূরণীয়
আজীবন বিশ্লেষণ হীন।
অপরাজিতার নীল রঙে ফুটে ওঠে যখন
এ পথিক.....
অহম পিপাসা মাথা উঁচু করে সহ্য করে।
তবুও করবো স্মৃতিচারণা।
চুম্বনের পুষ্পবৃষ্টি ভরিয়ে দেয়
আমার এই আসমান।
লজ্জায় যে জোনাকী রাতে জ্বলে মিটমিট করে,
আমি লজ্জাভরা জোনাকি না,
আমি আগন্তুক পথিক।
হে 'খোদা'খুঁটে খুঁটে খেয়ে যাও আমায়–
তুই পারবি আমার কষ্টার্জিত শরীর খেতে।
পাব একটু নিরালা শান্তি,
বাকিটা খেলো অপবাদ ঘৃণায় বক্রদৃষ্টি।
রচনা– বিপ্লব দাস
তাং–২৩/০৯/২০১৮