"কবি ও ডাহুক"
          বিপ্লব দাস


গগনচুম্বী প্রাসাদ বাড়ি চায় না অ–কবি,
দেওয়ালে টাঙানো ঘড়িটার ঢং ঢং  করে  বেজে ওঠা  ধনী প্রতিযোগিতা,
প্রবল বৃষ্টি হুল্লোড়,  সুখময় আচ্ছাদন ,
আয়েশের জমকালো গালভরা শব্দের মাধুর্য
এগুলির কোনটাই চায় না অ–কবি।
  বিন্দুময় উপন্যাসের কৃষ্ণচূড়ায় সুগন্ধি
জীবন জ্যামিতিক আলোকসঞ্চারী,
  তার কাছে যথেষ্ট।
তবুও সমাজের দামিমানুষ, খ্যাতিকবি, প্রিয়জন–
রাতদিন জাগা ভুখামিছিলে অ–কবি ভোকাট্টা রুটিঘুড়ির পেছনেই দাবানল ছুট।
তাকে কেউ করেনি সাহায্য।
বারংবার মিষ্টি  আশ্বাসে বেকারত্বের মাদুরটা হয়েছে ঝাঁঝরা।
কর্মভিক্ষা চাওয়ায় যেন তার অপরাধ,
কৃতঘ্নতার কুয়াশায়  কেউ মুখ তুলে দেখে না।
তারা এ সমাজের  চাক্ষুষহীন সমাজদ্রোহী।


বেদানা ফলের মতো অকবির জীবন।
বেদানার  একেকটা রোয়ার মত দু আঙ্গুলে, পিষে বের করে রক্ত ।
সেখানেই ফুটে ওঠে যন্ত্রণা, মায়া, কর্মভিক্ষা, না পাওয়ার জীবনাবৃত্ত।


"অ–কবি ছুটতেই থাকে ডাহুকের মত"।
শেষমেষ ভুলে যায় সে কবিতা ফলানোর রাজকীয়তা।
তারপর, তারপর সেই অ-কবিকে দুরারোগ্য  দুশ্চিন্তা গ্রাস  ফেলে।
উপেক্ষার খন্ড খন্ড খেলাচক্রে অকবি হয়ে যায় অজ্ঞান,,,
তারপর, আর জ্ঞান ফেরে না,,
জীবন দিয়েই তাকে প্রমাণ করতে হয় সে শুধু কর্মভিক্ষা চেয়েছিল একটু।।


রচনা–বিপ্লব দাস(রাহুল)
তাং–৭/০২/২০২২