"কবিতা তোমায় বলছি"
                  বিপ্লব দাস


এক বার নয়, বহুবার তোমায় বলেছি আমার সঙ্গে মিলে যেতে কবিতা।
আমি তোমার সামান্য কবিরাজ।
জানি,সব অসুখের মন্ত্র জানা নেই আমার।
তোমার বোঁটা থেকে ঝড়িয়ে দাও তোমার শব্দ সুন্দরীদের।
এইই মাত্র চোখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে এসেছি,
      ভাঙ্গাচোড়ার মত সমস্ত শরীর তোমার পদতলে নতজানু ।
সেই মুহুর্তেই  অহংকার বেড়ে  যায় তোমার ।
সমস্ত শব্দের পাখা লন্ডভন্ড,
সমস্ত ভাবনার  সুরভী পুড়ে পুড়ে ছাই ।
           মাঝে মাঝে তোমার কপালে ঠাণ্ডা জলের জলপট্টি দিয়ে পাইয়ে দিই জীবনের অমূল্য স্বাদ।
আর, আমার মায়া করলে না কোনো দিন পরিমাপ।
      


নিশীথের ফিনফিনে গড়িয়ে যাওয়া অন্ধকারে আমায় পুড়িয়ে দাও,
শহরের ধুলোবালিতে  যখন মিশে থাকি
তখন আমায় করো আমন্ত্রণ।
এ তোমার কেমন ভালবাসা!
  এ কেমন তোমার আমার সংসার !


দোলা দিদি  বলে– "কবিতা কি ভাত কাপড় দেবে,
আর এত্ত ঘরকুনো বউ কেন সাজিস?
বন্ধু কৃষ্ণ বলে –"সাহিত্য শুধু মনের জ্বালা মেটায়,
তবে পেটের জ্বালা না"।



আসলে ওরা এও জানে না–কবিতা আমায় প্রতিবাদী হতে শেখায়
আর দু একবেলা না আহার করলেও
কবিতার জলস্থলে,কণ্ঠস্বরে ভিজে থাকতে ভালো লাগে ।


এ শহরের  কোনো মানব– মানবীর দুর আচরণ দেখলেই,
      সাথে সাথে কবিতা আমার সঙ্গে মিশে যায়
    শব্দবীজের ব্রহ্মাস্ত্র  ফুটিত আগুন অক্ষর,
তাদের কবর দেওয়ার জন্য,
তৃষিত মনের দোর খুলে যায় ।


রচনা–বিপ্লব দাস
সকাল ৬টা