"কষ্ট কেতাব পাখি"
           (উৎসর্গের দর্পণে "তুমি" আমারই দাদামনি)
           বিপ্লব দাস


আমি তোমার কাছে যেতে যেতে,
যত্ন করে পৃথিবী ছেড়ে আসবো।
জীবনযাবৎ গবেষণা করেছি শূন্যতা,
অভিশপ্ত ছাড়া কোন মানবীর বোঁটায় বোঁটায় ফুল ফুটিত না, সুরভী ছড়াতো না।
মনের ভারে, মন নুইয়ে পড়েছে সবুজ ঘাসে ঘাসে আমার।
তবু এই মনের জলবিভার ঝলক বিলিয়ে দেব সকলের তরে।


লতিয়ে উঠবে আমার মন, তোমার মন বেয়ে–
আমার শিসে উড়তে থাকবে দুঃখী কবুতর
সমস্ত দুঃখ– পাহাড়ে, লাগিয়ে দেব পাহাড়ি ফুল।
তুমি আঁধারের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে,
নিত্য তোমার এই পৃথিবীর, জন্ম মৃত্যুর রসনা,–
                তুমি ভুলে গেছো।


বারংবার, তবুও এক ঝাঁক নতুন বিষন্ন শিশির ঠোঁট ছুঁইয়ে চলে যায়–
বারবার,পুনরায়...
তবু আলোর ধারাপাত, জানালার গ্রিল ধরে করেনি চুম্বন।


বাতাসে ক্ষয়ে গেছে চেনা-পরিচিত সুর–
জীবনবিলে, পুকুরের শোভা পুঁটি মাছ হারিয়ে গেছে
         অন্যজীবন জীবনের লিপিতে।


ভুল করেও আসেনি বসন্তের রঙ–
চোখের মনিতে জন্মেছে জঙ্গল–বন
হাতেদের মৃত্যু হয়েছে,
ডাকে আর কোনো আপন হাত,
পরসুখের উৎসব গোপনে চোখের মুক্তো দানাগুলো যত্ন করে তুলে রাখে ।
বিভীষিকাময় শহরে, উন্মুক্ত স্বপ্নগুলোকে, একটু শাস্তি দিও,
অহং– তুড়ি– ফর্দেই  গুচ্ছ গুচ্ছ সুবাসিত কবিতা লিখো
  মন খোলা হাসি পৃষ্ঠা সযত্নে উড়িয়ে দিও।


আমি ভালোবাসা দিয়ে, ভালোবাসা শিখিয়ে দেব,
স্বর্গীয় মন বাড়ি বানিয়ে দেব,
আমি ডেকে  যাবো ঈশ্বরীকে–
জীবন পোড়ানো জীবনেই।


সবুজ হোক তোমার হৃদয়ের লতাপাতা,
আমার শব্দ প্রদীপে, একটি প্রার্থনা "তুমি" আলোর নামে।
ঝিনুকের মত যতদিন তোমার মন খোলেনি ঢাকনা,
দেখেনি ভোরের প্রথমা মিষ্টি আলো,
ঘ্রাণ নেবার জন্য আমিও বসে থাকবো দীর্ঘ প্রতীক্ষায়।


তোমার কষ্ট কেতাব পাখি, আমার আকাশে উড়িয়ো!
মনের ভেতরে মায়াবী কাজল  মেখে দিও সোহাগে।


আমারও তো ঝলমলে হাসির  আড়াল আছে।
পৃথিবীর ভিতরে আছে আরো এক – অন্য পৃথিবী
তুমি না বুঝলেও  সেই পৃথিবী ভীষণ রকম হাসে...
তুমি না বুঝলেই সেই পৃথিবী রচে যায় ভিন্ন স্বরলিপি...


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৭ অক্টোবর ২০২১