মাকাল ফল
     বিপ্লব দাস


নিখোঁজের মত বেঁচে আছো তুমি।
কৃষ্ণাভ রং হয়েছে মনের আস্তরণে–
আহুতি দেয় না দিনকাল খুঁজে পেতে,
অকাট্য   বর্নোজ্জ্বল নকশা ইতরামি মনে
অনারোগ্যরূপের ইচ্ছা পিতা-মাতার
প্রোজ্জ্বল হীন, ক্লান্তিকর শেষে
ব্যঙ্গপূর্ণ   একগুঁয়ে ইস্তিরি করা
শেষে যেন ফেটে বের হয় পোড়া ধোঁয়া।
দীপ্তিমান ইমারত নাই বা হল
চলতে-ফিরতে পথে নিঃশ্বাস নেওয়াটা হবে নিষ্কলঙ্ক।
অবুঝ ভাবে গাছের গুঁড়ি নিয়ে চলেছ প্রতিক্রিয়া শূন্য হবে।
কতটুকুই বা বয়স তোমার?
শব্দ না করে স্থলভাগে – জল সেঁচে।
লক্ষ্য নেই দূরের মানচিত্র ছেদ  করা,
কত যে ভালোর থেকেও ভাল হয় জীবন
          স্বাদ পাবে তুমি–
শুধু কাঁচকলার আঙুল।


শুকনো ঘাসপাতার পাবে সাধের মালা।
'জানি কুড়ি বছর তুমি পুরুষের মতো পুরুষ'
তবু তুমি মিথ্যে অধ্যায় মোড়া।


চিন্তার উষ্ণ হাত দেয় না উঁকি–
একটুকুও গুরুত্ব দেয় না আর কেউ
ট্রাম গাড়ির মতো ঘুরেছ চিলেকোঠায়,
মূর্খের কাল সন্ধ্যা পড়েছে তোমার মুখে
একটুকুও কী পাওনি গন্ধ চারপাশে?
তুমি একটি নামেই পরিচিতি পাবে–
                সে কি জানো?
                     মূর্খ!
অস্পষ্ট শাখায় ক্ষীণ জোয়ারের জল,
থামে না নেমে যায় ভাটার মুখে।
জীবনের স্বাদ শেষ ভাটার–
গভীরতম ঢেউও পারেনা ফুল ফোটাতে।


পথের আঁকাবাঁকা চিল –শকুন খাবে তোমায় ছিঁড়ে।


তখন আমার ধোঁয়া ধোঁয়া  কথা–
ঠিক স্বর্ণাক্ষরে ফুটে উঠবে– সত্যভাবে।
বলবে তখন হায় হায় কী ভুল করলাম?
চোখ থেকেও অন্ধভাবে
গেঁথে নিলাম ভুল বর্ণমালা।


আশপাশ বা আমায় পারবে না দোষী করতে
এই পৃথিবীর বুকে মাকাল ফল
সারাজীবন খেতে হবে শুধুই নিজেকে।।


              রচনা– বিপ্লব দাস
              ১১ নভেম্বর ২০২৭ শুক্র বার