"পাখি দুটো কেমন জানি"
                 বিপ্লব দাস


পাখি দুটো কেমন জানি!
ধুর , ভালো লাগে না বিরক্ত লাগে
যা অত্যাচার করছে বিষ দিয়েই মেরে দেব।
এ যন্ত্রণা আর সহ্য হয় না।
এমন দৃশ্য প্রায়ই আমায় দেখানোর কি আছে?
সকাল–সন্ধ্যা বারান্দায় কি সব ছবি এঁকে দেখায়? আমি বুঝিনা...

সীমা থেকে সীমানাহীন মায়া ভাগ করে,
কিঞ্চিৎ খাবারের খন্ড ভাগ করে খায়,
ঠোঁট দিয়ে শরীরের পশম ঠিক করে দেয়,
একে–অপরকে আলিঙ্গন করে।
  আজন্মের  ব্যাকুল স্বরে সঙ্গিনীকে বলে– দীর্ঘ কবিতা লিখবো দুজনে,
চলো আজ যাই আকাশ খাতায়
তাদের মনে বিষাদ নেই,
বলা মাত্র উড়তে উড়তে চলে যায় আকাশ পানে।
আবার ফিরে আসে নতুন জীবন সুরভী নিয়ে।


আমি হারিয়ে যাই সহজে.........


আমি কি সত্যিই ভালোবাসা চাইছি?
একটা গুছিয়ে দেওয়া ভরসার হাত চাইছি!
আমার হারিয়ে যাওয়া মনটা খুঁজতে খুঁজতে
সে ক্লান্ত হবে না এ জনমে।


হুর,আমি তো এ  শহরের এক নষ্টা মেয়ে,
পুরুষের সঙ্গে মদ, গাঁজা, সিগারেট খাই,
সর্বদা উচ্চস্বরে খিস্তি দিয়ে কথা বলি,
লজ্জা লতিকা বিন্দুমাত্র নেই আমার শরীর জুড়ে।
পুরুষের ঘাম আর আমার ঘামের  তফাৎ নেই।
              আমি কোন অংশে কম না
    পুরুষালী ভঙ্গিতে  হাঁটি।
সব মানুষদের প্রতি মধ্যমা আঙ্গুলটি নির্লজ্জের মত ব্যবহার করি।


আমি শুধু ভালো হতে চাই না, নষ্টা রূপেই থাকতে চাই
অসভ্য  অপবাদেই আমি তুষ্ট  ।


এ শহরের কোন পুরুষও আমাকে দেখে আকর্ষিত হয় না।


তবে এ পাখি দুটোর  সোনালী  দৃশ্য দেখে,
    ভীষণ ভীষণ ভালো হতে ইচ্ছে করছে,
       আমার মনের কুয়াশা ঘোর কেটে যাচ্ছে,
      আমার পাথর মন বরফের মত গলে যাচ্ছে।

চিরুনি তল্লাশির মত  নিজেকে খুঁজিনি কোনোদিন।
    কেন এমন অবশ হওয়া বইতে লাগছে?
            আমি বিধ্বস্ত, ক্লান্ত।


হঠাৎ বাথরুমে চোখেমুখে জল দিতে দিতে
ছোট্ট আয়নায় মুখখানি দেখতেই
অপরূপা এক নারীর মূর্তি ভেসে উঠল
আমার শরীরটা আরো কেমন জানি অবশ হয়ে আসছে।
        চোখ মুখের সামনে কেমন   অন্ধকার।
চারিদিকে শুধু একটা  আওয়াজ ভেসে উঠছে...


"ইয়া দেবী সর্বভূতেষু ক্ষান্তিরূপেণ সংস্থিতা।


নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ হ"


পাখি দুটো সত্যিই কেমন জানি!
      একদম প্রেমিক প্রেমিক।
বেহায়ার ডাকঘরে  ভুল চিত্রাঙ্কন করেই আমার যাপিত জীবন শেষ।


এই ভাবেই আনন্দময়ী মা  যেন আমার মধ্যে  শুভবোধ জাগ্রত করছেন ...
কাশফুল আর শিউলির সুবাসে মোহিত হচ্ছে চারিদিক
মা তোমার আগমনে।।


এই প্রথম   মহাঅষ্টমীর  দিন  মায়ের এক কাপড়ের ভাঁজ
ভাঙতে ভীষণ ইচ্ছে..........


রচনা–বিপ্লব দাস
১৮  সেপ্টেম্বর২০২১