"পারিনি দাঁড়াতে"
   বিপ্লব দাস


আমি দাঁড়াতে পারিনি নিজের কাছে কখনো।
দীপ্যমান  মাতৃভূমি হৃদয় পেতে দাঁড়িয়ে থাকে সর্বদা
আমার গোপন দুঃখ সুরের জয় জননী।
বড় স্বাদ হয় দু'দণ্ড দাঁড়িয়ে দেখি নিজেকে ,
কখনো যে   প্রজাপতি মন হয়ে ওরেনি আকাশে।


কাগজের মতো উড়তে থাকি শহরের বুকে বুকে
ফুসফুসে আমার আকাশচুম্বী অভিমানী বাতাস
তবে পাথরচাপা হদয়ে ফুটে থাকে ফুল হয়ে।
সযত্নে বাগান থেকে তুলে আনা ফুলের হাসিগুলো
সেগুলোই এঁটে দিই  শহরের দেয়ালে দেয়ালে,
মানুষের মনে মনে।
এই শহরে ল্যাম্পপোস্টের আলো গুলো দপ দপ করে জ্বলে ওঠে দেখেছি
মায়া কান্না মুছে দিয়েছি আলিঙ্গনে।
নন্দ ফার্মেসির লাইনে দাঁড়ানো মানুষের ওষুধ বালিকাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত
মনটা কাকার দোকানে কিছু মাস্টার, কবি, অফিসারদের মুখে পড়তে থাকে সিগারেট সুন্দরী ,
চায়ের সঙ্গে।
মনটা কাকার সারল্য হাসি হৃদয় পকেটে রাখা।


সারাদিন বৃষ্টি বুলেট  বর্ষণের পর ,
হৃদয় স্বস্তি পায় বাড়ি ফিরে।


তারপর...
আমিও স্বস্তির ট্রেন ধরে বেরিয়ে পড়ি
প্রিয়জনদের গন্তব্যে...


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৬/১১/২০২১