১লা ডিসেম্বর
বিপ্লব দাস


দিনের শেষ জয়ধ্বনি ঘোষণা দিয়েছিলে–
শেষ একত্রিত ঝংকার প্রবল রক্তাক্ত চোখে।
বিস্ফারিত জ্বলন্ত রক্ত পরিণত নিস্তেজে।
অজানা রাস্তার পাশে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত
    ডাকে না আর পতাকা তুলে
আমি কি আছি, বন্ধু বলে?
ভুলে যে প্রত্যেকটা মন, আর বাঁকা ছায়া।
কথার প্রসঙ্গেও জন্ম নেয় না আমার ভাষা,
সেই পতাকার নিচে একরাশ গল্প
রঙহীন সভার ঝিলাম অধিনায়ক
তা আমি যথাযথ পারছি বুঝতে।।


স্বার্থপর তিলক কপালে আর  বাণী মুখে
জিলিপির প্যাচ যে কবেই এঁটে ছিলে মন
তা বুঝতে পারিনি অবুঝ মন বলে।


নিরালা দিনকর শান্ত বায়ু–
ছিল আজকের দিনের মতোই
মৃদু গোধূলির শেষে আমায় করেছে  পরাস্ত।
প্রস্তুর–নির্মিত আঘাতের পর আঘাত হয়েছে মস্তিষ্ক
হিসেব খাতায়  শেষবার আলাপন ধরণীর সঙ্গে।
ঝঞ্ঝাময় যন্ত্রণায় পাগল প্রীয়জন নিলয়
কম্পিত হাহাকারে জর্জরিত প্রতিবেশী।


সূর্যোদয়ের একটি দিনেরই ছিল পীড়িত  অশ্রুঝরা
ছুঁয়ে যাওয়া প্রতিটি মনকে শেষ আকাঙ্ক্ষা
নিষ্প্রদীপে একটি দিনই তেল পাবে
                ১লা ডিসেম্বর
ভষ্মিভূত নিষ্প্রাণ মিলেছে সমীরণে
আবার দেখা দেবো মাথা তুলে
স্বার্থপর বন্ধু তোমার স্বপ্নে!


রচনা–বিপ্লব দাস(রাহুল)
তাং–১ লা ডিসেম্বর২০১৭