পঁচিশ পয়সা
     বিপ্লব দাস


চেয়েছিলে তুমি একটি পঁচিশ পয়সা।
দাওনা দাওনা – মাগো আমায় একটি পঁচিশ পয়সা,
চাওনি তুমি গোল্ড বা সিলভার কয়েন
তবুও দিতে পারেনি 'মা' তোমায়।
বলতে– বলতে অশ্রুঝরা নিয়ে
কখন গেছো স্যাঁতসেঁতে মাটিতে ঘুমিয়ে।
নিখোঁজের মত মা– বাবা তোমায় ছেড়ে মাঠে যেত কাজ করতে–
নিদ্রাভঙ্গ হয়ে নিজ মনে খোঁজ মায়ের স্পর্শ।
ছেঁড়া বস্ত্রেও  জ্বলে যেন জোনাকির আলো
নিভৃতভাবে নিয়মিত  রূপে রুপবান করো নিজ হস্তে
জ্বরা শরীরেও  মাছ কেটেছে বঁটিতে ।
ইতস্ততহীনভাবে নিছক শান্ত প্রয়াস চালিয়েছো নিজেকে
পাড়া-প্রতিবেশী তোমার উচ্চ আওয়াজ কখনো পায়নি
পেয়েছে বলে আমার কোন ধারণা নেই
কখন কেউ বুঝতেই পারেনি এই বাড়িতে মেয়ে আছে
মুখ বুজে সমস্ত কর্ম করেছে সযত্নে।


একবার তোমার কপাল কেটেছে
ধারালো তালের ডেঙা দিয়ে।
ক্ষতচিহ্ন টা মিশেছে প্রকৃতির স্পর্শে
তার সঙ্গে চিরতরে তুমিও মিশে গেছে অন্ধকারে
কয়েক দিনের জন্যই এসেছিলে রাজকুমারীর বেসে।
আজ তা কষ্টকর প্রবাহ মায়ের চোখে
কান্না তরঙ্গ চোখের জলে
মেয়েটির অতি কিঞ্চিৎ আবদার
মেটাতে পারেনি দুর্দশার ছোবলে
আজ যদি থাকত দিতাম হাত ভরে
একটি পঁচিশ পয়সার থলে।।


      রচনা– বিপ্লব দাস
     ১০ অক্টোবর ২০১৭(মঙ্গলবার)


এটা আমার কবিতা হলো কী না, তা আমার কাছে বিচার্য বিষয় নয়। জীবনে আমি সবার জন্য লেখার চেষ্টা করছি।


এটা আমার দিদিকে নিয়ে লেখা, ওকে নিয়ে কখনো কিছু লিখিনি।।
২০১৭ সালে আমি ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়।
তখন এই লেখাটা, লিখি দিদিকে নিয়ে। সে সময় আমার খুব মনে পড়ছিল ওর কথা।
যেখানেই থাকুক আমার দিদি যেন ভালো থাকে।।