'  র' এর প্রতি
        বিপ্লব দাস(রাহুল)


তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ– সর্বসেরা।
গুনবান সম্পূর্ণ পুঞ্জ মনের মাস্তুল,
তোমার আঙুলে সমস্ত পৃথিবী।
প্রভুত্বপরায়ন জ্ঞানমালার–
এক –একটা অক্ষরের উত্তরদাতা।
অন্যত্র রূপায়িত মানুষের সুখ শান্তির প্রাণোচ্ছল।
অনুভব শিরা-উপশিরায় তোমার,
ছবির মত গণিত সম্বন্ধীয়।
পুলকিত– অপুলকিত মনে।
শুধু একমাত্র আমিই পেলুম,
তোমার কলমে কষ্ট যন্ত্রণার  রূপরেখা।
তোমাকে জেনেছি শুধু ' র ' এর শূন্য
'রবি' তো এখনও অপরিপক্ক আমার মনে।
একটি মানুষের জীবনী জানা সহজ কাজ নয়,
কারণ, পেটে উপযুক্ত দানা ও পানি সম্বল থাকেনা,
মস্তিষ্কে জ্ঞান গর্জন জট খোলাও কঠিন।
তবুও জট খোলা সংঘটিত রচনায় তোমার
গবেষকরা আজও ভুল খন্ডন করতে ভিমরী খায়।


যারা নিজেকে কবি বলে দাবি করে–
কিংবা আমগাছ আম্রমুকুল যখন আসে
তারা আজও জানে না একফোঁটা শিশির কণার মাধুর্য,
তবুও নিজেকে ভাবে সবাই  বজ্র– বাতিঘর।
আর কি বাকি আছে তোমার  দোয়াতে?
অসামান্য মূল্য
সংকীর্ণহীন আমিও  নই এই জীবনে
বাকিটা খোঁজার চেষ্টা করব হঠাৎ দেখার মত
তবুও দিতে বলিনি আমার লেখনীর মূল্য–
সবার মত আমারও  তুচ্ছ একটা পাগলামি বন্ধু।


তবুও মনের ভিতরে একটি কথায় জলের মতো পৃষ্ঠায় ফুটে ওঠে–
"কবিতা লেখার মত সাধ্য নেই আমার,
আমি নইতো কবি
শুধু লিখি মনের আনাগোনা ছবি"।


রচনা–বিপ্লব দাস
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
রাত্রি ৭টা ৩২