" রৌদ্রলীনা"২


তুমি অভিমান করো না রৌদ্রলীনা –
বা মন খারাপের পঞ্জিকা খুলে বসো না,
অন্য– অন্য পৃথিবীর কাছে।
বীভৎস রকম ঘটে যাওয়া ঘটনা তুষার বিলাসে
সাজিয়ে দিও না,
দেখবে সেই
মানুষগুলো গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বদলে
যাবে  অন্য রঙের উত্তাপে।


তোমার কিছু এলোমেলো
হাসি, সুখ, দুঃখ থাকুক লেপটে।
যদি লিখতে মন চায় তবে লিখে রেখো সেই বড়ো মনের আকাশের বুকে।


সমস্ত রকম যন্ত্রণাদগ্ধ
কাঁটাগুলো পুড়িয়ে
ঘুমাও একটু শান্তিতে।
তোমার ঘুমন্ত স্পন্দনে মনখারাপ গুলো ফুটুক সূর্যমুখী ফুলে।


ভেবে দেখেছো তুমি কখনো–
এই যে আকাশ কখনো বলেছে
তার মন খারাপ হয়
মেঘবালিকার জন্য।
বা সূর্য বলেছে, আমি ছাই
হয়ে গেছি বিরহে বিরহে,
ঘোমটাপড়া জ্যোৎস্নার কথা শুনেছো
তার মাথা ব্যাথার কথা একটানা রাত জাগার দরুনে,
বা গাছেদের অভিমান হয়
আজও প্রিয়জনদের  হাত
  একটিবারও ধরতে পারেনি বলে,
পাখিদের কি চিন্তা হয় ডিনার
ডেটে যাওয়া নিয়ে?


তবে কেন  চিন্তাগ্রস্ত ঝিনুকের  কোটরে তোমার  নির্বাসন?


আমিও তোমায় বলিনি
বহুদিন, কেমন আছো
রৌদ্রলীনা?
মহুয়া বনে লিখিনি একান্তে
  গল্প তোমার নামে ।
আমাকেও বিশ্বাস করো না
নিরবে ,
রাত দিন যে তুমি পুড়বে ।
একদম, একদম নগণ্য হয়ে
চলে যেও না পৃথিবী ছেড়ে।
জানো তো এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকার কারণ কেউ তোমায় খুঁজে দিতে পারবে না।
ভেবে নাও বেঁচে থাকাটাই কঠিন,
তবে বেঁচে থাকাটাকেই সহজ করো।
মানুষ বলে, গুগল বলে, বা নিজেরাও জানি
হাজার হাজার মৃত্যুর কারণ আছে পৃথিবী ছাড়ার
এ ধরো বিষপান, গলায় দড়ি, গায়ে আগুন, হাতের শিরা
কাটা, মেট্রোতে ঝাপ ইত্যাদি ইত্যাদি...


জানো কেউ থাকেনা কারো কাছে,
সাদা পৃষ্ঠা হয়ে বুকের মধ্যে
এতকাল ছাই বাসা স্বপ্ন দেখে দেখে গেছে জীবন
তাই বাঁচো শুধু বাঁচো, নিজের জন্য।


কেউ নেই অথচ...


তোমার 'তুমি' টা আছে যে সর্বক্ষণ তোমার সঙ্গে।।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–১৩/০১/২০২৩