সময় মানবী
     বিপ্লব দাস


আমি কিছু লিখিনি ঈশ্বর, কিচ্ছু লিখিনি–
এ সময় মানবী যোদ্ধা  আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে,
সত্য কথাগুলো;
আমি নিরুপায়, আমার কিছু করার নেই
আমি ঠিক ঠিকানা,  জ্যামিতি কাঁটা দিয়ে আঁকতে পারিনি
সর্বদা  সময় মানবীর আক্রোশ।
একটু, একটু বিশ্বাস করুন ঈশ্বর।
সময় মানবীর   নির্বাসন কাঁটা কলে আমি ঝুলে
আমি মাছের আঁশটে সোনালী দুঃখ,
গরিবের ভাতের থালার পাশে পড়ে থাকা এঁটো  ঝুটা,
বুঝি, জেলের  জলযুক্ত জালের ওজন
দেহ উৎসর্গ পতিতা নারীটিও চেয়েছিল গোপন স্বর্গ।
তাদের মনের মাঝে কষ্ট বিদ্রোহ।
আমি লিখি না, কিছু লিখতে পারিনা।
বিরামহীনভাবে সময় মানবী ছদ্মবেশে এসে
হুমকি দিয়ে প্রত্যহ লিখিয়ে নিয়েছে
কষকষে, জ্বলজ্বলে কাহিনী।
মানুষের  দুঃখের কথা ,কুরাজনীতিদের কথা, ধর্ম বলে কিছু নেই, মানুষ মানুষই হয়, তাদের রক্ত রঙ এক,
মানুষ মানুষের ভুল বার্তা জাতপাতের তান্ডব।


লিখতে লিখতে চুল  পাক ধরেছে, চোখে পড়েছে ছানি
বানান লিখতে ভুল করি, শব্দও বলেছে আমি খুনি
এই খুনের দায় নিয়ে আর কতদিন মন-মস্তিষ্ক নৃত্য করবে?


আর আর কতবার পরিচয় করিয়ে দেবো আমি এসব লিখিনি ঈশ্বর
সময় মানবী লিখিয়ে নিয়েছে,
তার জন্য আমার সাক্ষীদার প্রস্তুত রেখেছি।
সময়  মানবীকে আপনার  খোঁয়াড়ে নিয়ে যান
আমি নির্দোষ।


ঈশ্বর আর দাঁড়ি কমার  মত দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
না হয় আমায় নিয়ে চলেন ক্রমাগত বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে,
               মন শহর  ঝাঁজরা।


ক্লান্ত ক্যালেন্ডারে  ঝুলে থেকে অতিষ্ঠ জীবন
সময় মানবী আমার ছিটেফোঁটাও রাখবে না।
           আপনি, আপনি  একটু ব্যবস্থা করুন
   আমার  মর্মাহত  বেদনা থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার।


না হলে, সময় মানবীকেই আধমরা না রেখে ঈশ্বর
বারো ঘন্টা দিনকেও, রাত করে দিন
আমি একটু শান্তিতে ঘুমাই।


রচনা–বিপ্লব দাস
২২জুন ২০২১
সকাল–৮টা৫০