"তোমার মত সুন্দর"
বিপ্লব দাস
এ শহরের সমস্ত নাম জানা–অজানা ফুল তোমার মত সুন্দর,
তাই, সমস্ত ফুলদের অভিবাদন জানাই।
আকাশের সমস্ত তারাগুলো তোমার নীল সোয়েটারের বোতাম,
তাই, অবাক হয়ে চেয়ে থাকি রাত্রে তারাদের দিকে।
তোমার একেকটা নিঃশ্বাসের ঢেউ
বালক বালিকাদের প্রথম অক্ষর শেখা উল্লাস।
তাই, রবি ঠাকুরের গীতবিতান না পড়ে ,
নিবিড় ভাবে তাকিয়ে থাকি মুগ্ধতার আবেশে।
এ রাত, তোমার চুলের মত রেশমি ও স্নিগ্ধ ,
তাই,ক্ষুধিত শিশুরা ঘুমিয়ে পরে রাত্রি মায়ের ক্রোড়ে
তোমার এক একটা চুলের সুঘ্রান হাজার হাজার বছর ধরে ফুরোয়নি
আজও আমার কাছে।
এক ঝাঁক উড়ন্ত ধবধবে পায়রার মতো তোমার মোহিত হাসি,
তাই, পাখিদের বন্দি করিনা খাঁচায়, দূর থেকেই তাদের শব্দকুহেলি আমায় বড়ই পাগল করে।
চাঁদের মত ঝলমলে তোমার হাতের স্পর্শ এ ঘর জুড়ে,
তাই, ওঘরে মনপাখি চায় না যেতে ।
তোমার আলোকিত স্পর্শ এড়িয়ে গেলেই অসুখে দুলে ওঠে আমার মনমহল।
পৃথিবীর চোখের মতো তোমার
নেশাতুর চোখ,
আমি এক টুকরো কাগজের নৌকো হয়ে ভেসে যাই তোমার মায়াবিনী চোখ সাগরে,
আর, এভাবেই পৃথিবীর ঐশ্বর্যের রূপ, রস, গন্ধ আস্বাদন করি।
ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা টিপগুলো
তোমার কপালে জোনাকিবিন্দু ,
তাই, আজ সন্ধ্যাবাতাসে জোনাকি গুলোর স্বাধীন স্বাক্ষর লুটেপুটে নিই আঁধার ঘরে।
তোমার বলার মধ্যেও এক বর্ণালী সুরভী আছে,
একদিন তোমার কন্ঠপুষ্প যদি না এসে পৌঁছায় কর্ণযুগলে,
কোথাও এ শহরে অসুখ থাকে না
সমস্ত অসুখ আমায় ঘিরে নেয়।
আর, সর্বশেষে এ শহরের কোনো মন্দির, মসজিদও আমায় প্রশান্তি দিতে পারে না
সে তো
তোমার হৃদয় মন্দিরেই বিরাজ করে।
রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২২/০১/২০২২