তোমার নামে মহাকাব্য
বিপ্লব দাস
আজ রাতে তোমার সঙ্গে কথা বলার পর–
বিধ্বস্ত শহরের চিবুকে, ডুবুরিরা জেগে উঠেছে
শান্তির প্রদীপ নিয়ে।
ঠোঁটের নিচে আলুথালু করা তিলটা দোদুল্যমান।
আমার সকাল–সন্ধ্যা তোমার পৃথিবীর– পেয়ালায়
শিহরণ জাগানো পরিত্রাণ ।
কানের দুলের পাশ দিয়ে লতানো চুলগুলোতে–
নেমে এসেছে মায়াবী ভালোবাসার উদ্যান।
আমি দুঃখের– কান্নার রূপ ভুলে গেছি,
নীলাভ মনের অধ্যায় ভুলে গেছি,
তোমার ললাটে চাঁদ টিকলির, আলো ঝরনায় বিরামহীন সুখ।
পরস্পরার যে মধুর আলাপন–
হাঁটু মুড়ে সুসজ্জিত রাখতে চেয়েছি কবিতার কুটিরে।
অনাবিল সৌন্দর্যের রহস্যময়ী 'তুমি ' টা ভ্রমরের মত ছুটছে,
আমার অশান্ত বুক– দরিয়ায়।
পারিনি কবিতার করতলে সবুজ শব্দগুলো রাখতে।
কবিতার দরজায় আজ বহুবার কড়া নেড়েছি,
পাইনি বৃষ্টির মত তার ঝড়ানো ভালোবাসা।
তার চোখে আজ ভীষণ ঘুম,
যুগান্তর ধরে সে ঘুমহীন
হুটহাট করে তার হৃৎপিন্ডে হাত দেওয়া ঠিক না।
এ কবির আসল কবিত্ব না।
নকুল দানার মত দুঃখগুলো, আনন্দে গলে যাচ্ছে
আজ সুখের ঝর্ণায় সহজেই,
ঘুম দেশে যাবার আমার কোনো যোগ্যতা নেই।
বিষণ্ণতার উঁচু ফিসফাস কোনো কুচকাওয়াজ নেই–
আনন্দে, আনন্দ পায় না কবিতারা
দুঃখেই যেন তার চরম সুখ।
কলমের কালিতেও গন্ধ নেই...
আজ এ রাতে এক অদ্ভুত মিষ্টি গন্ধ মম করছে–
একচুল নাসিকা সরাতে পারছি না।
আমার ভিতর মন মানবী মাতালে– মাতাল
এই গন্ধের সারাংশ ব্যাখ্যা দেবার জন্য নেই আমার ক্ষমতা।
এই গন্ধের রহস্যময়ী তুমি– তুমির শাখা-প্রশাখা থেকে–
ছড়িয়ে পড়েছে না ছোঁয়া অতল অন্ধকূপে।
যেখানে আলোর গল্পে ,অন্ধকার–কাঁটা চামচ জর্জরিত করতো আমায়।
আজ বেসামাল রজনীতে ঝরছে তুমি– ফুল,
তোমার অনুপম সুবাসে আমার শুশ্রূষা,
আমার ক্ষতের সীমানায় স্বর্গ স্পর্শিত প্রলেপ।
তোমার আজন্ম ঋণী সুবাসে, একটা দ্রাক্ষালতা
হৃদয় ভূমিতে রোপিত করলাম।
এই দীর্ঘ ঘন রাতে কবিতা–বালিকা না জেগে উঠুক,
কবিতার লাইন নাই বা হোক,
মনের সামিয়ানায় তোমার নামে গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতার লাইন আছে–
তা নিয়ে নিশ্চিত একটা মুখে মুখেই মহাকাব্য হয়ে যাবে।।
রচনা–বিপ্লব দাস(রাহুল)
তাং–১১/১১/২০২১