তোমায় কেন এত তাড়াতাড়ি
             বিপ্লব দাস


তোমায় কেন এত তাড়াতাড়ি অসুখ গ্রাস করে ফেলছে?
তোমার শরীর ও মন অবসর চাইছে
এত তাড়াতাড়ি কেন শাখা-প্রশাখা গুলো ভেঙে পড়ছে  ভূতলে?
ইদানিং তোমার ব্যর্থতার গল্প শুনে
আকাশের মতো মন ভার হয়ে যায়,
তোমার না পাওয়ার যন্ত্রণা শক্তপোক্ত ভাবে গবেষণা করলে,
'রবি'র মত একটা গীতবিতান সৃষ্টি হবে।


তোমার শহরে একদা কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের
তবে তোমার পা হাঁটতে চায় না,
কথা শোনার আগ্রহ দেখা যায় না
আমি এসব বিন্দুমাত্র মেনে নিতে পারছিনা
তোমার সঙ্গে  এখনও পথ হাঁটতে ভীষণ অভিলাষ আমার।
তোমার জন্য পাখি হয়ে  স্বর্গে পাড়ি দেবো,
অস্বস্তিকর একরাশ দিনলিপি  
শুকনো ফুল জীবিত করার আশায় ।


আমায় ভেবে তুমি আকাশ দেখো না,
আমায় ভেবে তুমি বৃষ্টিতে ভেজো না,
আমায় ভেবে তুমি রোদ মাখো না,
আমায় ভেবে তুমি রাতের তারা দেখোনা,
যেখানেই মন রাখো সেখানেই আমার কবিতা তোমায় নাকি শান্তি পাইয়ে দেয়,
এইই নাকি সম্পর্কের শ্রেষ্ঠ উপলক্ষ।


আমার আঁখি দুটি সেই জন্যই শুধু তোমার চিত্রকল্প তুলে আনে,
মুছে নয়, মিশে মিশে থাকি রজনী দিবস জুড়ে।
সে  ভালোবাসার গানে মৌমাছিগুলো মাতাল হয়ে যায়।


এই যে  অসুখ অন্ধকার,
ঘড়ি থেকে সময় খসে পড়ছে জটা চুল বেয়ে,
নিজে নিজে এখন ডুবে থেকে  যাও তীব্র যন্ত্রণায়,
যেখানে কোমল আলিঙ্গন করা প্রিয় রোদ নেই,
এসব  কিছুই ঈশ্বর বিষায়ক চক্রান্ত
দৈনন্দিন শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে নির্বাক অন্তর ব্যথা,
নিদারুণ হুলুস্থুল সংসারের মানুষগুলো।
তোমার প্রতি ঈশ্বর ও প্রাণীকুলের যে চক্রান্ত
ভালোবাসার আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেব।
আর তোমার জন্য এক বস্তা কবিতা অপ্সরা পাঠিয়ে দেবো,
যে সর্বদা বেমালুম ভাবে তোমার অসুখ ছারখার করে,
    সূর্য উদয়ের প্রয়াস চালিয়ে যাবে।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২৭/০৩/২০২২
৪টা ৮মিনিট বিকেল