ভোরের আলো
        বিপ্লব দাস


আমি যেদিন মরে যাব ভোরের আলো,
সেদিন একটি কবিতা লিখো আমার নামে।
আমি অকেজো পূর্ণ ঝরাপাতা
কবিতার তনুভবনে পারিনি তুলতুলে নরম শাড়ি পরাতে।
মেরুদন্ডের যে কিঞ্চিৎ পবিত্র ঝনঝনে ধ্বনি
      তা দিয়েই হোক কবিতার আয়ুষ্কাল।
অফুরন্ত অক্ষমতার আলপনা আঁকতে চাই না।


বনস্পতির ফাঁক দিয়ে একটু একটু করে যখন তুমি,
আঙিনায় মখমল আঁচড় দিয়ে
ধূসর সোয়েটার পড়া  ছেলেটিকে ছুয়ে যাও ওম উষ্ণে।


হৃদয় জলসা ঘরে সত্যতার নামটুকু তোমার ভোরের আলো।
তোমার নেই কোন মন খারাপের অসুখ,
নেই কোন নিশিতে পড়ে যাওয়া বিরহ শব্দের সুবাস।
দরজার ভিতর প্রবেশ না করতেই মৃত্যু যার অবলীলায়,
নিরালায় কাঁদে নুন আগুনে পাখিটি পৃথিবীর জন্য।
মৃত্যুর মতো  ঝুলে পড়া সুগন্ধি–
ঝুলিয়ে রাখতে পারেনি অন্য সত্যতায়।
এ বার্তার আঁখিজল সুখের, অনিবার্য সোনালী ধানক্ষেত।
আমার জন্য কোন ক্রন্দনরত  প্রিয়জন নেই।
বিশ্বাসের ফুলদানিতে চুপসে যাওয়া ভালোবাসা
পোষণ করে না আর কেউ লালায়িত শুভেচ্ছা।


তোমরা আলোটুকু  পরম সত্য  'ভোরঈশ্বরী'।
আমার সেদ্ধ শরীর মনে ছুড়েছে অভিশপ্ত শব্দ উচ্চারণ,
আঁধার  চিরে এসেই দেখেছি আমি আজন্ম ক্রীতদাস
বিবর্ণ কুচকাওয়াজ, শতাব্দী ধরে আজ ঘড়ির কাঁটা ক্লান্ত।
ওদের পাপ ধুঁয়ে দিও ' ভোরঈশ্বরী'
তাই বলে দুঃখের শব্দাবলী দিয়ে আমার কবিতা সাজিও না।
আমি যেদিন মরে যাব ভোরের আলো,
সেদিন সে উঠোনজুড়ে লিখো মুক্তির কবিতা,
শান্তির কবিতা।।


রচনা–বিপ্লব দাস
তাং–২/১২/২০২১